নন্দন দত্ত, সিউড়ি: চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে গণপিটুনির অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বিকালে বীরভূমের মল্লারপুর থানার কোট গ্রামের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। প্রহৃত যুবকের বাবার অভিযোগ, দক্ষিণ গ্রাম থেকে তাঁর ছেলেকে তুলে এনে লালন শেখের পরিবার গাছে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মল্লারপুর থানার পুলিশ লালন শেখকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয়দের দাবি, প্রহৃত রমজান শেখ এলাকার দাগি চোর হিসাবে পরিচিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেল থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পায়। তার আগে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ মল্লারপুর থানার পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। সেই সূত্রে জেল খাটছিল রমজান। ছাড়া পেয়ে নিজের গ্রামে ফিরে ফের চুরি শুরু করে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন থেকেই গ্রামে মোবাইল ফোন চুরি যাচ্ছিল। রাতে জানালা খুলে শোওয়ার সুযোগে জানালা দিয়ে মোবাইল চুরি যাচ্ছিল বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুদের অস্তিত্ব সংকট’, বাংলার ৫ জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবি বিজেপি সাংসদের]
গ্রামবাসীরা জানায়, বৃহস্পতিবার রমজান সেই চুরি যাওয়া মোবাইল বিক্রি করতে গেলে হাতেনাতে ধরা পড়ে। বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে এনে গণপ্রহার দেওয়া হয়। তাঁর বাবার অভিযোগ, লালন নিজের বাড়িতে রমজানকে তুলে এনে নিম গাছের সঙ্গে পিছমোড়া করে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর। পরিবারের লোক এমনকি গ্রামের চুরি যাওয়া মোবাইলের মালিকরাও গণপ্রহার দেয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মল্লারপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত লালন শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।