সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'তোমার শরীর জুড়ে নেশা'র মাতম, গন্ধ- ঠোঁটে আগলে রাখা চুমুর সমুদ্র' - কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে এই সমুদ্রেই ডুব দিয়েছিলেন তরুণ-তরুণী। চারপাশে কী হচ্ছে, কোনও হুঁশ ছিল না তাঁদের। শরীর জুড়ে তখন শুধুই চুমুর শিহরণ। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল ভিডিও। কেউ প্রশংসায় পঞ্চমুখ, কেউ আবার নিন্দায় মুখর। চুমু নিয়ে গোটা একটি কবিতা লিখে ফেললেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। শ্রীলেখা মিত্র, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ও দিলেন প্রতিক্রিয়া।
সমাজে আধুনিকতার চাকচিক্য লেগেছে ঠিকই, কিন্তু এখনও চুমুর সহজাত প্রবৃত্তি স্বাধীন হয়ে উঠতে পারেনি। ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশকে সমাজে আজও 'ট্যাবু' হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। সমাজের সেই 'ট্যাবু'কেই চাবুক মেরে বিরসা লিখেছেন,
'চুমু পায়।
ঠিক যেমন বৃষ্টি পড়লে খিচুড়ি পায়,
স্নানের সময় গান পায়,
আদরের পরে সিগারেট পায়,
পড়তে বসলে ঘুম পায়,
তেমনই।
তাই চুমু পেলে চুমু খাব,
যখন যেখানে ইচ্ছে।
কার বাপের কী?'
২০২৫ সাল দোরগোড়ায়। এদিকে বাসে-ট্রামে কিংবা রাস্তায় যুগলের মাখোমাখো রসায়ন দেখে ললাট কুঞ্চিত হয় কিংবা আন্দোলিত হয় ভ্রুযুগল। তাতে বয়েই গেল শ্রীলেখা মিত্রর। অভিনেত্রীর কথায়, 'বেশ করেছে চুমু খেয়েছে। ঘুষ খায়নি তো আপনাদের মত। গেট আ লাইফ ম্যান।'
চুমুর পক্ষে সওয়াল পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়েরও। 'ব্যালট থেকে ভাগাড়ের মাংস - যা পাচ্ছে, খাচ্ছে! তার বেলায় কেউ কথা বলেন না। চুমু খাওয়া নিয়ে এতো বাগবিতণ্ডা কিসের? আগে না খেয়ে থাকলে - খেয়ে দেখুন। ভাল্লাগবে', লিখেছেন পরিচালক।