নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: নির্বাচনের আগে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করল বিজেপি (BJP)। সূচি ঘোষণার আগেই মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) ও ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার সকলকে চমকে দিয়েই দুই রাজ্যের প্রার্থীদের প্রথম তালিকা ঘোষিত হল। তার মধ্যে রয়েছে লোকসভা সাংসদ বিজয় বাঘেলের নামও। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নির্বাচনী কেন্দ্র পাট্টান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, বুধবারই বৈঠকে বসেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি।
চলতি বছরের শেষের দিকেই মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। কিন্তু এখনও ভোটের সূচি ঘোষণা হয়নি। কিন্তু সূচি ঘোষণার আগেই দুই রাজ্যে নিজেদের রণকৌশল স্থির করতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি। বুধবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও বৈঠকে ছিলেন।
[আরও পড়ুন: দিলীপকে দিল্লিতে জরুরি তলব শাহর, এবার কি মানভঞ্জনের পালা?]
সূত্রের খবর, যে সমস্ত আসনগুলিতে বিজেপি দুর্বল এবং গতবারে দল হেরে গিয়েছিল সেই আসনগুলির প্রার্থী নির্বাচন নিয়েই আলোচনা হয়েছে। কিভাবে এই আসনগুলিতে জেতার সম্ভাবনা রয়েছে, এই আসনগুলিতে কাকে প্রার্থী করা হতে পারে-সমস্ত বিষয়ই আলোচনায় উঠে এসেছে। দুই বৈঠকেই স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও নেওয়া হয়েছে। এই বৈঠকের ঠিক পরের দিনই দুই রাজ্যের প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশের ৩৯টি ও ছত্তিশগড়ের ২১টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
ছত্তিশগড়ের প্রার্থী তালিকায় রয়েছে লোকসভা সাংসদ বিজয় বাঘেলের নাম। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের কেন্দ্র পাট্টান থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। বাকি সব রাজ্যেও জয়ের জন্য ঝাঁপাচ্ছে দল। সম্ভবত সেই কারণেই নির্বাচনী রীতি ভেঙেছে তারা। এযাবৎ কাল পর্যন্ত বিজেপি নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই প্রার্থী তালিকা তৈরী করার জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক ডাকত। তাদের প্রার্থী তালিকাও প্রকাশিত হত সবার শেষেই। ইন্ডিয়া জোট গঠন হতেই বিজেপি চাপের মুখে পড়ে আগে থেকে প্রার্থীদের নাম ঠিক করে নিয়ে তাদের কাজে লেগে পড়ার রাস্তা সুগম করতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।