shono
Advertisement

বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি থেকে শিক্ষা, পুর নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে সাবধানী গেরুয়া শিবির

রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরে বসানো হয়েছে ড্রপবক্স।
Posted: 12:06 PM Nov 16, 2021Updated: 12:06 PM Nov 16, 2021

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পুরভোটের প্রার্থী নির্বাচনে সাবধানী গেরুয়া শিবির। নতুন-পুরনো মিশ্রণেই হবে তালিকা। নতুন প্রজন্মও যেমন থাকবে, তেমনি অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন প্রবীণ নেতাদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি পুরভোটে যাঁরা প্রার্থী হতে ইচ্ছুক তাঁদের কাছ থেকে সরাসরি বায়োডেটাও নিচ্ছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। মুরলীধর সেন লেনে দলের রাজ্য দপ্তরে বসানো হয়েছে ড্রপ বক্স। সেখানেই জমা পড়ছে আবেদনপত্র।

Advertisement

লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য দপ্তরে এইরকম ড্রপ বক্স বসিয়ে আবেদনপত্র নিয়েছিল বিজেপি। এবার হাওড়া ও কলকাতা পুরসভার ভোটেও সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সচিত্র পরিচয় সমেত বায়োডেটা জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই হাওড়া ও কলকাতা পুরভোট পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলকাতার জন্য বিধানসভাভিত্তিক তিনটি কমিটি করা হয়েছে। একটি কমিটিতে কল্যাণ চৌবে এবং অন্য দু’টি কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, তুষারকান্তি ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষরা।

[আরও পড়ুন: শহরের কোথায় কোথায় খোলা ম্যানহোল? তল্লাশির দায়িত্বে স্থানীয় থানা ও ট্রাফিক গার্ড]

হাওড়ার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ডাঃ রথীন চক্রবর্তীকে। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, মণ্ডল ও জেলা কমিটি থেকে প্রার্থীদের নামের তালিকা রাজ্যের কাছে জমা পড়বে। এছাড়া রাজ্যদপ্তরে যে ড্রপ বক্স বসানো হয়েছে সেখানে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক আমজনতাও তাঁদের বায়োডেটা জমা দিতে পারবে। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, “ড্রপ বক্সে জমা পড়ছে আবেদনপত্র। তবে কত জমা পড়েছে সেই হিসাব এখনও করা হয়নি।” এদিকে, এক রাজ্য নেতা জানালেন, গত বিধানসভায় প্রার্থী হতে যে হিড়িক ছিল বা যেভাবে আবেদনপত্র জমা পড়ছিল, এবার পুরসভায় কিন্তু সেই উৎসাহে কিছুটা হলেও ভাটা রয়েছে।

নব্য-পুরনো দ্বন্দ্বে টালমাটাল গেরুয়া শিবির। তৃণমূল ছেড়ে আসা দলবদলুদের নিয়ে পার্টির অন্দরে মাথাচাড়া দিয়েছে অসন্তোষ। বিধানসভা ভোটের আগে ঘাসফুল থেকে পদ্মফুলে নাম লেখানোর হিড়িক পড়েছিল। এখন তার উলটপুরাণ চলছে। সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির। তাই পুরভোটে প্রার্থীতালিকা বাছাইয়ে যথেষ্ট সাবধানী তারা। দলের যুব ও মহিলা মোর্চা থেকে অনেকজনকে প্রার্থী করা হবে। এছাড়া, কোথাও কোথাও বিজেপি মনোভাবাপন্ন এলাকার বিশিষ্টজনকে প্রার্থী করা হতে পারে। এলাকায় জনপ্রিয়তা ও স্বচ্ছভাবমূর্তি তো অবশ্যই প্রাধান্য পাবে।

[আরও পড়ুন: ‘মানুষের হাতে নগদ অর্থ দিন’, নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে বৈঠকে সাফ পরামর্শ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement