সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভাস্থল ঘিরে সরগরম পুরুলিয়ার (Purulia) রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার চার দিন পার হওয়ার পরও জনসভাস্থল ‘অপরিষ্কার’ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। রবিবার সেই ময়দান সাফাইও করেন দলীয় কর্মীরা।
রবিবার বিজেপির ওই সাফাই কাজের পর পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের নেতারা পালটা পুরুলিয়া দু’ নম্বর ব্লকের সেই সভাস্থল হুটমুড়া হাইস্কুল ফুটবল ময়দানে গিয়ে দেখিয়ে দেন, হেলিপ্যাড করার জন্য মাঠের যে দেওয়াল ভেঙেছিল সেই দেওয়াল তাঁরা গড়ে দিয়েছেন। পালটা ঘাসফুল শিবির অভিযোগ করে, শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্যই বিজেপি এই মাঠে এসে সাফাই কাজ করেছে। একই সঙ্গে তৃণমূলের ‘পরামর্শ’, সাফাই কাজ করতে হলে বাসস্ট্যান্ডে বা হাসপাতালে যাওয়া উচিত ছিল বিজেপি কর্মীদের।
[আরও পড়ুন : বাবুল-শুভেন্দুর পালটা কর্মসূচি ঘোষণা, ফের তৃণমূলের হয়ে মাঠে নামার ইঙ্গিত জিতেন্দ্রর]
রবিবার সকালে পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙার নেতৃত্বে জনসভাস্থলে যায় বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে যে কাগজপত্র ছিল এদিন তা তাঁরা তুলে নেন। তারপর সেই সাফাই অভিযানের ভিডিও তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে তৃণমূলকে আক্রমণ করে। এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এই মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভার পর থেকেই অপরিস্কার ছিল। আমাদের কর্মীরা তাই আজ এই মাঠ সাফাই করে দিল।” এর পরেই পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি- তথ্য-ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু, জেলা মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি কর্মীদের নিয়ে সেখানে যান।
ওই মাঠে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, “জনসভাস্থলে সেইভাবে আবর্জনা কিছু ছিল না। টুকটাক কয়েকটা কাগজ পড়ে ছিল মাত্র। হেলিপ্যাডের জন্য মাঠের যে অংশের দেওয়াল ভাঙা হয়েছিল সেই দেওয়ালও নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই মাঠের মালিক স্কুল কর্তৃপক্ষকেও আমরা বলেছি, এই মাঠটাকে আরও সুন্দরভাবে আমরা সাজিয়ে দেব।” মাঠ সাফাই নিয়ে তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, “বিজেপি শুধু রাজনীতি করার জন্য এদিন এখানে এসে সাফাই কাজ করে।”