ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ভূপতিনগরে তিনি ‘বহিরাগত’। এমন অভিযোগ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) গ্রেপ্তারির দাবি তুলল বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুরের এই এলাকায় শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণে ৩ তৃণমূল (TMC) নেতা-কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত সেখানকার পরিস্থিতি। শনিবার কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই এহেন বিস্ফোরণে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে শাসকদল। বিজেপিও পালটা আসরে নেমেছে। এই মুহূর্তে সেখানে রয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের দাবি, তিনি ভূপতিনগরে ‘বহিরাগত’, তাই গ্রেপ্তার করা হোক তাঁকে। কুণাল ঘোষ অবশ্য এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”ওরা যে এমন একটা দাবি করেছে, তাতে আমি খুব মজা পেয়েছি।”
শুক্রবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়ুয়াবিলায় বোমা বিস্ফোরণ (Bomb blast) হয়। তাতেই প্রাণ হারান তৃণমূল বুথ সভাপতি-সহ তিনজন। এই ঘটনার পর শনিবার সকালে নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী লতারানি দাবি করেন, একদল দুষ্কৃতী তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করেছে। তবে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন তৃণমূল নেতার স্ত্রীর। রবিবার তাঁর বক্তব্য, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও বাড়িতে বাজি বানাতেন তাঁর স্বামী। কারখানায় কাজ চলার সময় কোনও কর্মী ধূমপান করছিলেন। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। লতারানি দেবীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো’তেই শেষ নয়, এবার দেশজুড়ে ‘হাতে হাত’ রাখার কর্মসূচি আনছে কংগ্রেস]
এদিকে, ভূপতিনগরের ঘটনায় তৃণমূল বড়সড় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব হয়েছে। শনিবারের সভা থেকে অভিষেক (Abhishek Banerjee) অভিযোগ করেন, তাঁকে খতম করার জন্যই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ-সহ একাধিক নেতাও এ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। এরপর রবিবার কুণাল ঘোষকে ‘বহিরাগত’ বলে বিজেপি তাঁর গ্রেপ্তারির দাবি তুলেছে।
[আরও পড়ুন: বিয়ের মরশুমে মহার্ঘ গোলাপ-রজনীগন্ধা-চন্দ্রমল্লিকা! নবদম্পতির গলায় ৫০০০ টাকার মালা]
এ নিয়ে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”এখানকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে সকলেই বোমাবাজির সাক্ষী। তাঁদের বক্তব্যেই স্পষ্ট, বেশ কয়েকদিন ধরেই এখানে অশান্তি চলছে। এরপর যদি বিজেপি আমাকে গ্রেপ্তার করার দাবি তোলে, তাহলে তো কিছু বলার নেই। আমি এসেছি, আমাকেই সামলাতে পারছে না, আবার অভিষেক-মমতাকে সামলাতে চাইছে! তবে ওদের এই দাবি শুনে বেশ মজা পেলাম। এটুকুই বলব, আগে আমাকে সামলা, পরে ভাববি বাংলা।”
এদিকে, ভূপতিনগরের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে এই মর্মে তিন পাতা চিঠি পাঠিয়েছেন।