রূপায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়: একুশের সভা মিটতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নামে এফআইএর। সভামঞ্চ থেকে বিজেপি (BJP) কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এই মন্তব্য়কে হাতিয়ার করেই তাঁর নামে এফআইআর করল বিজেপি।
রাজর্ষি লাহিড়ী নামে জনৈক বিজেপি নেতা এফআইআর করতে চেয়ে আরজি জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ঘেরাও বেআইনি। এই কাজ করা যায় না। বিজেপি কর্মীর আরও দাবি, অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই গেরুয়া শিবিরের এক কর্মীকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। রাজর্ষি আরও জানিয়েছেন, মঞ্চ থেকে অভিষেক ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়ার পরই রাসবিহারীর এক বিজেপি কর্মী রাজু হালদারকে মারধর করেন তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের সদস্যরা। যার জেরে রাজুর মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। মাথায় সেলাই পড়েছে। এই সব ঘটনার পরই রবীন্দ্র সরোবর থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন রাজর্ষি লাহিড়ী। শোনা যাচ্ছে, আরও একাধিক থানায় মামলা হয়েছে। একুশের মঞ্চ থেকে কী এমন বলেছিলেন অভিষেক?
[আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে ‘মার’, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির]
একুশের মঞ্চে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। প্রথমটি, দিল্লি চলোর ডাক। আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে রাজধানী অভিযান করবে তৃণমূল (TMC)। আর দ্বিতীয়টি হল বিজেপি (BJP) নেতাদের ঘেরাও অভিযান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৫ আগস্ট কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ যত বিজেপি নেতাকর্মী আছেন, তাঁদের বাড়ির বাইরে ঘেরাও অভিযান করবেন তৃণমূল কর্মীরা। ব্লক স্তর থেকে শুরু করে বুথ স্তর পর্যন্ত, ছোট, বড়, মেজো সব বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করা হোক। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, ওই বিজেপি নেতার বাড়ির কোনও বয়স্ক সদস্য থাকলে তাঁরা যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু ওই বিজেপি নেতা যেন বাড়ি থেকে বেরতে না পারে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ৩৪১ ব্লকের সব বুথে এই কর্মসূচি চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যদিও পরে সেই কর্মসূচি কিছুটা শুধরে দেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, “অভিষেক যে কর্মসূচির কথা বলেছে, সেটা আমি বলব শুধু ব্লক স্তরেই করো। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরত্ব রেখে করো। যাতে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। যাতে কেউ বলতে না পারে আমাদের হ্যারাস করা হয়েছে।” মমতার কথায়, ‘ওটা প্রতীকী ঘেরাও হোক।’