শান্তুনু কর, জলপাইগুড়ি: বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই অশান্তি ছড়িয়েছে ত্রিপুরায়। রাজ্যের রিভিন্ন প্রান্তে মার খাচ্ছেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। দক্ষিণ ত্রিপুরায় বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে ভ্লাদিমির লেনিনের মূর্তিও। তবে শুধু ত্রিপুরাতেই নয়, বছর দুয়েক আগে যখন নরেন্দ্র মোদির দল ক্ষমতায় এসেছিল, তখন একই ঘটনা ঘটেছিল অসমেও। ভিটেমাটি হারিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবিতে এখন জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা কার্যালয়ের সামনে ধরনায় বসেছে সেখানকার একটি পরিবার। বেজায় অস্বস্তিতে দলের স্থানীয় নেতারা। যদি কিছু করা সম্ভব হয়, অবশ্যই তা করা হবে। প্রতিক্রিয়া বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তীর।
[গ্রামে উড়ে আসছে সেনাবাহিনীর গোলা, আতঙ্কে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা]
অসমের ধুবড়ি জেলার উজানপেটলা গ্রামে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন কৃষ্ণ অধিকারী। প্রায় তিন কাঠা জমিতে নিজের বাড়ি ছিল তাঁর। ২০১৬ সালে অসমে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। কৃষ্ণ অধিকারীর অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার পর দলের কার্যালয় তৈরির জন্য বাড়ি-সহ পুরো জমিটিই দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি সমর্থকরা। প্রতিবাদ করায় স্ত্রী সুশীলা কুমারীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আতঙ্কে সপরিবারে অসম থেকে এ রাজ্যে পালিয়ে এসেছেন কৃষ্ণ অধিকারী। জলপাইগুড়ির আমবাড়ির কামারভিটা গ্রামে আশ্রয় নেয় পরিবারটি। গৃহকর্তার দাবি, এতদিন কোনওমতে দিন গুজরান করছিলেন। কিন্তু, এখন আর সংসার চলছে না। তাই বাধ্য হয়ে ক্ষতিপূরণের দাবিতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি কার্যালয়ে সামনে ধরনায় বসেছেন তিনি। কৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘ধরেই নিয়েছি, জমি আর ফিরে পাব না। কিন্তু জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ যদি কিছু টাকা পাওয়া যায়, সেই আশাতেই জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। ক্ষতিপূরণ পেলে অন্তত এখানে একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করতে পারতাম। কিন্তু স্থানীয় বিজেপি নেতারা আশ্বাস দিলেও কিছুই মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে ধরনায় বসেছি।‘ বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে যদি ক্ষতিপূরণ না পেলে, অনশনে বসার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
[‘আমরাও সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, কিন্তু মূর্তি ভাঙিনি’]
ত্রিপুরা জয়ে আনন্দে মশগুল বিজেপি। আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুঙ্কার দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়িতে দলের জেলা কার্যালয়ে সামনে অসমের বাস্তুহারা পরিবারের ধরনায় বেজায় অস্বত্বিতে বিজেপির স্থানীয় নেতারা। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।যদি কিছু করা সম্ভব হয়, অবশ্যই তা করা হবে।
[মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে আচমকা উঠে পড়েছিলেন, সেই রাবেরা এখন কোথায়?]
The post বিজেপির কার্যালয় গড়তে বাড়ি দখল, ভিটেমাটি হারিয়ে ধরনায় অসমের পরিবার appeared first on Sangbad Pratidin.