রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: এবার মারণ করোনায় আক্রান্ত হলেন BJP’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, গত তিনদিন ধরেই হালকা জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন খড়গপুরের সাংসদ। সেকারণে সল্টলেকে নিজের বাড়িতে গৃহবন্দিই ছিলেন। অসুস্থ থাকায় বাতিল করেছিলেন একাধিক দলীয় কর্মসূচিও। শেষপর্যন্ত চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। এরপরই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শেষে সল্টলেকের ওই বেসরকারি হাসপাতালে এইচডিইউতে ভর্তি করা হয়েছে দিলীপবাবুকে। তাঁর আক্রান্ত হওয়ার খবরে রীতিমতো চিন্তায় বিজেপি–কর্মী সমর্থকরা।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমেই বিশ্বে করোনা আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে উঠতে পারে ভারত! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের]
এর আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ভারচুয়াল সভাতেও শামিল হননি দিলীপ ঘোষ। এতেই সকলের মনে প্রশ্ন জাগে। পরবর্তীতে জানা যায়, তাঁর শরীর খারাপ। এরপর শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য চিকিৎসক তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন বলে দলের সূত্রে খবর পাওয়া। তারপর থেকেই তিনি বাড়িতেই ছিলেন।
এর আগে গত সপ্তাহে নবান্ন অভিযানে মানুষের ঢল নেমেছিল রাজপথে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব তো দূর-অস্ত মাস্কও ব্যবহার করতে দেখা যায়নি অনেককেই। সেখানে ছিলেন দিলীপ ঘোষও। তারপরই সাংসদের অসুস্থতা স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মনেই প্রশ্ন, করোনা আক্রান্ত হননি তো দিলীপবাবু? শেষপর্যন্ত ওই আশঙ্কাই সত্যি হল।
[আরও পড়ুন: পুজোর এক সপ্তাহ আগে শীর্ষে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, উদ্বেগের কেন্দ্রে কলকাতাই]
যদিও এই করোনা নিয়ে মন্তব্য করেই বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। প্রকাশ্য সভায় বলেছিলেন, করোনা (Coronavirus) নাকি চলে গিয়েছে। যা নিয়ে কম শোরগোল হয়নি। বিতর্কের ঝড় উঠেছিল রাজ্যজুড়ে। অনেকেই তাঁর সমালোচনাও করেছিলেন। পরে অবশ্য নিজের সেই বক্তব্য থেকে সরে এসে, দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সময় সবাইকে সতর্ক থাকার আবেদনও করেছিলেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে গোটা দেশের একাধিক সাংসদ–মন্ত্রী, রাজ্যের শাসকদলের একাধিক বিধায়ক, খোদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়–সহ অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পেলেন না দিলীপবাবুও।