রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপি বনাম বিজেপি। লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে কোন্দলে তত ভাঙছে বঙ্গ বিজেপি। কদিন ধরেই বঙ্গ নেতাদের নিশানা করে চলেছেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।এই পরিস্থিতিতে অনুপমের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের কথা বলার পরামর্শ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সম্প্রতি দলের কোনও পদে না থাকা দিলীপবাবু কেন এমন পরামর্শ দিলেন, তা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা।
গত মঙ্গলবার থেকেই গৃহযুদ্ধে তোলপাড় গেরুয়া শিবির। বিশ্বভারতীর উপাচার্য ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চে হঠাৎই হাজির হওয়া নিয়ে অনুপম হাজরাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন দলেরই রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে অনুপমের প্রকাশ্যেই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চলে। আর বুধবার তা চরম আকার নেয়। অনুপম হাজরা তাঁর দলের রাজ্য সভাপতিকেই বেনজির আক্রমণ করেন প্রকাশ্যেই। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের ঘরের শত্রু বিভীষণ বলেও মন্তব্য করেন। দলের রাজ্য সভাপতিকে এভাবে নগ্ন আক্রমণ সেই দলেরই সর্বভারতীয় সম্পাদকের, এমন ঘটনা বিজেপির ইতিহাসে নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। দলের শীর্ষ নেতার এহেন নিশানায় অস্বস্তিতে পড়েছেন সুকান্ত মজুমদারও।
[আরও পড়ুন: টিটাগড়ে জেলফেরত যুবক খুনে গ্রেপ্তার ২, শুটআউটের কারণ নিয়ে জারি ধোঁয়াশা]
এই পরিস্থিতিতে অনুপমের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের কথা বলা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “উনি হয়তো পার্টির ভিতরের কিছু কথা বাইরে বলছেন। সেটা নিয়েই সমস্যা হচ্ছে। যদি তাঁর অবস্থান পার্টির বিরুদ্ধে যায়, তবে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা উচিত রাজ্যের। ওঁকে বলা উচিত যে, এগুলি দলীয় লাইনের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।” উল্লেখ্য, এক সময় রাজ্য বিজেপি সভাপতি এবং সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে থাকলেও বর্তমানে দিলীপ ঘোষ কোনও পদে নেই। সে কারণেই দিলীপ ঘোষের পরামর্শ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, তবে কী অনুপমের মতো দিলীপ ঘোষও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের উপর সমান বিরক্ত? আপাতত এই আলোচনাতেই সরগরম রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, দুপক্ষের এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতারা। খুব শীঘ্রই তারা হস্তক্ষেপ করতে চলেছেন বলে খবর। সুকান্ত ও অনুপমদের দিল্লিতে তলব করা হতে পারে।