বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি : রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে মানহানি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন মূল মামলাকারী গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি। ফলে জেলযাত্রা ঠেকাতে রাহুল দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলে একতরফা শুনানি হবে না। দুই তরফের বক্তব্য শোনার পরই আদালত রায় দেবে। সম্প্রতি গুজরাট হাই কোর্ট রাহুলের শাস্তি বহাল রাখে। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কংগ্রেসের (Congress) তরফে।
২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল। কর্নাটকের কোলারের একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক যে দেশের বড়বড় চোরেদের পদবি মোদি।” তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ ওই বক্তব্যের মধ্যে গোটা মোদি সমাজকেই অপমান করেছেন বলে গুজরাটের সুরাত আদালতে মামলা করেন পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাট আদালত। তবে উচ্চ আদালতে আবেদন করার জন্য একমাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। পরদিনই তাঁর সাংসদপদ খারিজ করে লোকসভার সেক্রেটারিয়েট।
[আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি দিল্লিতে, প্লাবিত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকাও, শাহকে চিঠি কেজরির]
নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল। কিন্তু সেখানেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকে। ফলে চরম বিপাকে সোনিয়াতনয়। তাঁকে এবার জেলে যেতে হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, জেলে যেতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানান রাহুল। দলের শীর্ষনেতৃত্বের অনেকেই তাঁর সঙ্গে একমত। তাঁদের ব্যাখ্যা, এমনিতেই ভারত জোড়ো যাত্রার পর রাহুলের জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার রাহুলের জেলযাত্রা হলে বিজেপির প্রতি মানুষের ক্ষোভে ইন্ধন দেওয়া যাবে। সেই আবেগকে লোকসভা ভোটে কাজে লাগানো যাবে।ভোটবাক্সে সুফল মিলবে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সোনিয়া ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁরা চাইছেন না প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ জেলে যান। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে বলে জানান কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। যে কোনও দিন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন তাঁর আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির লাগোয়া দিঘি থেকে উদ্ধার নরকঙ্কাল! তদন্তে পুলিশ]
কিন্তু নাছোড় অবস্থান নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি। পালটা তিনি ক্যাভিয়েট দাখিল করেন। জানা গিয়েছে ৭ জুলাই ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন। সেই দিনই অবশ্য গুজরাট হাই কোর্ট রাহুলের আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে।