অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: বিজেপি (BJP)বিধায়ক শংকর ঘোষকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে টুইট। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল শিলিগুড়িতে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার দাবিতে শনিবার শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি বিধায়ক। শনিবার জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়ে শংকর ঘোষ থানায় যান। তবে হুমকি পেয়েও তিনি দেহরক্ষী নিতে চায়নি। বলেন, “এই শহরের ছেলে আমি। প্রতিটি মানুষ আমায় চেনে, তাই আমার দেহরক্ষী লাগবে না। যেমনভাবে স্কুটিতে ঘুরে বেড়াই, ওভাবেই থাকতে চাই।” তবে এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন বিধায়ক।
কয়েকদিন আগে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধায়ক কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে টুইট করেছিলেন। সেখানে ‘বিপ্লবী’ বলে এক ব্যক্তির প্রোফাইল থেকে শংকর ঘোষের ওই টুইটে কমেন্ট করা হয়েছে। তাতে শেষ লাইনে লেখা ছিল, ”আপনাকে অ্যারেস্ট করে গুলি করে মারা উচিত।” যদিও বিধায়ক নিজে এই কমেন্ট দেখেননি। দলের লোকজন তা দেখতে পেয়ে শংকর ঘোষকে (Shankar Ghosh) জানান। তিনি অবশ্য শুক্রবার বিজেপির ডাকা বন্ধ পালনে ব্যস্ত ছিলেন। তাই শনিবার সকালে তিনি এই কমেন্ট পড়েন।
এরপরেই সিদ্ধান্ত নেন, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন। এদিন দুপুরে সদলবলে এসে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তিনি বলেন, “আতঙ্কের মধ্যে আমি নেই। তবে যেভাবে পুলিশ কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে হত্যা করেছে। ওইভাবেই আমাকে গ্রেপ্তার করে খুন করার চক্রান্ত হচ্ছে কিনা, তার একটা ইঙ্গিত এই পোস্টের মাধ্যমে পাওয়া গিয়েছে। এই পোস্টে লেখা ছিল তৃণমূলের নব জোয়ার। তাছাড়া আমি নিজে ওঁর প্রোফাইল দেখেছি। উনি রাজ্যের শাসকদলের হয়েই পোস্ট করেন। আর বিজেপি নেতাদের গালমন্দ করে থাকেন। আমি পুলিশকে বলেছি, দ্রুত এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে। তাঁরা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবেন। তবে এটা বলতে পারি, আমাকে এসব হুমকি দিয়েও দমানো যাবে না। আমি কাউকে ভয় পাই না।”
[আরও পড়ুন: হাওড়া মেট্রো চালু হলেই পালটে যাবে মঙ্গলাহাটের দিন! কী প্রস্তাব দেওয়া হল ব্যবসায়ীদের?]
তবে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত। তিনি বলেন, “শংকরবাবুর দলই রাজ্যজুড়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে। আমাদের দলের কেউ এসবে যুক্ত নল্য। এখন কেউ যদি তৃণমূলকে ব্যবহার করে কিছু করে তার দায় দল নেবে না। তবে এর আগেও এরকম ঘটনায় আমাদের দল নাম জড়িয়েছিল। পরে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগাযোগ নেই।”