সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে হাতিয়ার করে বঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালাচ্ছে বিজেপি’, শাসকদলের এ অভিযোগ নতুন নয়। এবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডি পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে কার্যত সেই অভিযোগেই শিলমোহর দিলেন বিজেপি বিধায়ক (BJP MP)। কারখানায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের হুঁশিয়ারি, ‘তৃণমূল নেতা শেখ রমজানের বাড়িতে ইডি (ED) পাঠানো হবে।’ বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর কেন্দ্রীয় শাসকদলের বিরুদ্ধে এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে আরও একবার সরব হল তৃণমূল (TMC)।
দুর্গাপুরের সগরভাঙা এলাকায় এক বেসরকারি কারখানায় বহিরাগতদের কাজে নিয়োগ করার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে নামে বিজেপি। সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই (Lakshman Ghorui)। পুলিশের সামনেই কারখানার বন্ধ গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয় তাঁদের। এরপর কারখানার পাশেই এক সভা থেকে তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ককে।
[আরও পড়ুন: বাবা-মায়ের জন্ম শংসাপত্র খুঁজতে কি শ্মশানে যাব? কেন্দ্রকে CAA তোপ তৃণমূল বিধায়কের]
তিনি বলেন, “ওই কারখানায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা শেখ রমজান মন্ত্রী মলয় ঘটকের সাহায্যে বেছে বেছে বহিরাগত তৃণমূল কর্মীদের কাজে ঢোকাচ্ছেন। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার স্থানীয়দের বঞ্চিত করে ১০ জন বহিরাগতকে কাজে নিযুক্ত করেছেন।” এরপরই শেখ রমজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে লক্ষ্মণ বলেন, “গরু, কয়লা, বেআইনি নিয়োগের কারবার করে প্রচুর টাকা কামাচ্ছেন শেখ রমজান। ওঁর বাড়িতে এবার ইডি-সিবিআই পাঠানো হবে। ওঁর আয়ের উৎস দেখবে ইডি।”
পালটা শেখ রমজানের দাবি, “যাঁদের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁরা সবাই স্থানীয়। প্রত্যেকে ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের। অর্থাৎ সদ্য নিয়োগ হওয়া ওই ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দা। তৃণমূল কোনও রাজনৈতিক রং দেখে না।” ইডি পাঠানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যাকে খুশি পাঠাক, আমি প্রস্তুত আছি।”