সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৩ সালে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজফফরনগরে (Muzaffarnagar) গোষ্ঠীহিংসার ঘটনা ঘটে। মুজফফরনগরের ওই দাঙ্গায় একটি মামলায় দু’বছর জেল হল বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) বিক্রম সাইনির (Vikram Saini)। মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরও ১১ জনকে সাজা দিল বিশেষ আদালত (Special Court)। এছাড়াও প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা হয়েছে।
২০১৩ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে মুজফফরনগরে দাঙ্গা হয়। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৬০ জনের। এছাড়াও ৪০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন বলে জানা যায়। ২০১৩-র ২৭ আগস্ট কাওয়াল গ্রামে গোষ্ঠীহিংসার শিকার হয়েছিলেন গৌরব ও সচিন নামে দুই কিশোর। তাঁদের দেহ সৎকার করে ফেরার পথে খাটাউলির বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনি সরাসরি গোষ্ঠীহিংসার প্ররোচনা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, গৌরব ও সচিনকে খুনের দায়ে ৩ বছর আগেই আরও ৭ জনকে সাজা দিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় রাজনীতির এক অধ্যায়ের সমাপ্তি, নিজেরই গ্রামে পঞ্চভূতে বিলীন মুলায়ম সিং যাদব]
এদিকে মুজফফরনগরে দাঙ্গার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর মাঝে জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। তার বিরুদ্দে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (National Security Act) মামলা হয়েছিল। এবার বিশেষ আদালত বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনিকে রেয়াত করল না। বিশেষ আদালতের বিচারক গোপাল উপাধ্যায় (Gopal Upadhya) বিজেপি বিধায়ক-সহ দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে ২ বছরের জেলের সাজা দিলেন। এইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে আদালতের তরফে। যদিও সাক্ষপ্রমাণের অভাবে অন্য ১৫ জন অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
[আরও পড়ুন: ১৬ দলিত শ্রমিককে বন্দি করে অত্যাচার, মারধরে গর্ভপাত এক তরুণীর, কাঠগড়ায় বিজেপি নেতা]
মুজফফরনগর গোষ্ঠীহিংসায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধ্বী প্রাচী (Sadhvi Prachi), বিজেপি নেতা সুরেশ রানা-সহ বেশ কয়েক জন। এই নেতাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) এবং হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। যদিও উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের সুপারিশ মেনে আগেই মুজফফরনগর গোষ্ঠীহিংসা মামলা থেকে তাঁদের রেহাই দেওয়া হয়েছে।