সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সতীদাহ তথা বিধবা নারীর স্বামীর চিতায় সহমরণের কুপ্রথা বন্ধ করেছিলেন রাজা রামমোহন রায়। আজও এদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে রয়েছে ওই প্রথা। কিন্তু সেই প্রথাকেই মহিমামণ্ডিত করার অভিযোগ উঠল বিজেপি (BJP) সাংসদ সিপি জোশির বিরুদ্ধে। তাও সংসদে দাঁড়িয়ে। যাকে ঘিরে ঘনিয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে স্পিকার ওম বিড়লা অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পর তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার সময়ই ‘সতী’ (Sati) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ। রাজস্থানের চিতোরগড়ের সাংসদ জোশি রানি পদ্মাবতীর প্রসঙ্গে বলেন, আলাউদ্দিন খিলজি যখন আক্রমণ করেছিলেন সেই সময় রানি পদ্মাবতী সতী হন। এরপরই সুপ্রিয়া সুলে-সহ বহু মহিলা সাংসদই আপত্তি জানিয়ে বলেন, এখানে সতীদাহকে মহিমামণ্ডিত করা হচ্ছে। শুরু হয়ে যায় হট্টগোল। গোলমাল এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, স্পিকার অধিবেশন মুলতুবি করার কথা ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতের জাতীয় সংগীতের সময়ে দাঁড়ালে তবেই হিজাব পরব’, ইরানের মাটিতে দাবি শাটলারের]
তবে বিজেপি সাংসদের দাবি, তিনি সতীদাহ নিয়ে কিছু বলেননি। কেবল রানি পদ্মাবতী যে ‘জওহর’ ব্রত পালন করেছিলেন, সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। বিরোধী সাংসদরা যখন ওয়েলে নেমে তীব্র প্রতিবাদ করছেন, সেই সময় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমি আমার বক্তব্যে অটল থাকব।”
উল্লেখ্য, এর আগে গত তিনদিন সংসদের দুই কক্ষেরই অধিবেশন মুলতুবি হতে দেখা গিয়েছে আদানি ইস্যুতে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের পর ধন্যবাদ জ্ঞাপনে রাজি হয় বিরোধীরা। ব্যতিক্রম ছিল আপ ও বিআরএস। কিন্তু রাজ্যসভায় বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ধন্যবাদ জ্ঞাপন নিশ্চয়ই করা হবে। তবে তার আগে হিন্ডেবার্গ-আদানি প্রসঙ্গে মুখ খুলতে হবে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। এর মধ্যেই এদিন লোকসভায় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে উঠল সতীদাহকে মহিমামণ্ডিত করার অভিযোগ।