রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ছেলে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বিজেপির সৈনিক। বর্ষীয়ান সাংসদ বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikary) আপাতত তৃণমূলের যাবতীয় দায়িত্ব থেকে অপসারিত। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুপিতাও যে ঘাসফুল শিবির থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন, তা বোঝা যাচ্ছে। ছেলের মতো গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন কি না, জানা নেই। তবে শোনা গিয়েছে, আগামী ২৪ তারিখ কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন শিশির অধিকারী। তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই শনিবার ‘শান্তিকুঞ্জ’তে গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আমন্ত্রণ পেয়েছেন শুভেন্দুর ভাই, তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। তিনিও দ্রুত দলবদল করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) নিজেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বার্তা দিয়েছিলেন, রামনবমীর আগেই তাঁর বাড়িতে পদ্ম ফুটবে। সেই থেকেই শুরু হয়েছিল কানাঘুষো। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছিল, শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর পথে হেঁটে বিজেপিতে যেতে পারেন শিশির ও দিব্যেন্দুও। সম্ভবত শীঘ্রই সিলমোহর পড়তে চলেছে সেই জল্পনায়। শোনা যাচ্ছে, চলতি মাসেই বিজেপিতে যোগ দেবেন দুই তৃণমূল সাংসদ শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারী।শনিবার কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জে’ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) আমন্ত্রণ করে আসা সেই জল্পনা আরও উসকে দিল নিঃসন্দেহে।
[আরও পড়ুন: ভোট ঘোষণার পর প্রথম রাজ্য সফরে অমিত শাহ, রবিবার তারকা প্রার্থী হিরণের হয়ে প্রচার]
রাজনৈতিক কেরিয়ারে ইতিমধ্যেই লম্বা পথ পেরিয় আসা ছেলে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা শুনেই বাবা শিশির অধিকারীর আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য ছিল, ”শুভেন্দু বড় ব্যবধানে জিতবে নন্দীগ্রাম থেকে।” এরপর শিশিরবাবু এও জানান, সময় এলে, প্রয়োজন পড়লে নন্দীগ্রামে ছেলের হয়েই প্রচার করবেন তিনি। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্য বিজেপি সূত্রে কানাঘুষো চলছিল, কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি সভা করলে শিশির অধিকারীকেও উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হবে। জল্পনাই সত্যি হয়ে গেল শনিবার। মোদির ‘দূত’ হয়ে শিশির অধিকারীকে ২৪ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর সভায় থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে এলেন বিজেপি সাংসদ লকেট।
[আরও পড়ুন: ‘চাপের মুখে’ ভোটের আগেই ইস্তফা জলপাইগুড়ি পুলিশের ডিএসপির]
যদিও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লকেট এই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”কাঁথিতে এসে অধিকারী পরিবারে না যাওয়াটা অসৌজন্য। তাই সৌজন্য বজায় রাখতেই শিশিরবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি।” প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ তারিখ কাঁথিতে মোদির সভার আয়োজন কেমন চলছে, তা দেখতেই এদিন সেখানে যান লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি অধিকারী পরিবারের অতিথি হয়ে মধ্যাহ্নভোজনও করেন। ভাত, ডাল, ভাজা থেকে ভেটকি, পমফ্রেট, খাসির মাংস-সহ রীতিমতো একাধিক পদে পাত সাজিয়ে তাঁকে বসিয়ে খাওয়ান স্বয়ং শিশির অধিকারী।