রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: এবার বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (BJP MP Soumitra Khan)। ফাঁস হল তাঁর বিস্ফোরক ফোনালাপ। আগামী লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে বিজেপির ফলাফলের পূর্বাভাস দিতে শোনা গিয়েছে সাংসদকে। বলতে শোনা গিয়েছে, “আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি তিনটে আসন পাবে।” যদিও অডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
শনিবার সন্ধেয় আচমকাই একটি ফোনালাপ সামনে আসে। ফোনালাপে ফোনের একপ্রান্তে সাংসদ তথা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। সেই ফোনালাপে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) থেকে বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শোনা গিয়েছে। এমনকী, দলের পরিস্থিতি নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন সৌমিত্র।
[আরও পড়ুন: মেয়ো রোডে SSC চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ, মঞ্চে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার]
অডিও-তে শোনা গিয়েছে সৌমিত্র খাঁ বলছেন, “আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি তিনটে আসন পাবে। দলে যা চলছে, তা ভাবা যায় না।” তাঁর আরও অভিযোগ, “কট্টর বিরোধীদের সাইড বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” লোকসভা ভোটে কোন কোন আসন পেতে পারে বিজেপি, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সৌমিত্র। এমনকী, বাংলা থেকে মন্ত্রিত্ব পাওয়া চারজনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। বিষ্ণুপুরের সাংসদের হিসেব বলছে, চারজন মন্ত্রীর মধ্যে লোকসভা আসন জিতবেন শুধুমাত্র শান্তনু ঠাকুর। সৌমিত্রের কথায়, “ভোট হলে জিতবেন না নীশীথ প্রামাণিকও। তিনি মন্ত্রী হলে দলীয় কর্মীদের কোনও লাভ হয়নি।”
ফোনালাপে দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সৌমিত্র। দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে সাংসদের অভিযোগ, “দিলীপ ঘোষ নিজের কেন্দ্রে, ওয়ার্ডে হেরে বসে আছেন। বড় বড় কথা বলছেন। রাস্তায়ও নামেন না। খালি মিডিয়ার সামনে বাইট দেন।” এমনকী, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর “মেদিনীপুর থেকে কোন আসন পাবে না বিজেপি’, বলে দাবি সৌমিত্রর। এর পর তাঁর দাবি, “আমি ঠিক করেছি, নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বাইরে যাব না।” যদিও এই অডিও ক্লিপ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিজেপি সাংসদের।
[আরও পড়ুন: হাওড়ার বেসরকারি হোমে দত্তক দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকায় শিশু বিক্রি! ধৃত ৯]
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “অডিওর সত্যতা ঘিরে সংশয় আছে।” আর দিলীপ ঘোষ বলেন, “কে কার সঙ্গে ফোনে কী কথা বলছেন, তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি নই।”