নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ‘নাটক’ অব্যাহত। বুধবার সকালেই হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী নেতা জয়রাম ঠাকুর ও অন্য বিজেপি বিধায়করা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আস্থা ভোটের প্রস্তাব পেশ করেছেন। গতকাল, মঙ্গলবার রাজ্যসভায় ক্রস ভোটিংয়ের জেরে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে যান বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনের কাছে। জয়রাম ঠাকুরের ইঙ্গিত ছিল, সুখবিন্দর সুখুর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে। এর পর এদিন সকালেই পেশ হল আস্থা ভোটের প্রস্তাব।
জয়রামের অভিযোগ, মঙ্গলবার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিতর্কের সময় বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিং পাথানিয়ার সঙ্গে বিজেপি সদস্যরা দেখা করতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন মার্শালরা। স্পিকার নাকি সেদিনের মতো সভা মুলতুবি ঘোষণা করেন। এবং নিজের কক্ষে ঢুকে পড়েন। একে ‘গণতন্ত্রের উপর আঘাত’ বলে দাবি করেছেন তিনি। রাজ্যপালের কাছে লেখা পত্রে তাঁর আর্জি, এদিনের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আচরণের ফলে স্পিকার তাঁর সাংবিধানিক পদের আস্থা হারিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করুন রাজ্যপাল। ২০২২ সাল পর্যন্ত হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা জয়রামের দাবি, হিমাচল প্রদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে বলা যায়, রাজ্য সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। রাজ্যপালের কাছে পেশ করা স্মারকলিপিতে মোট ২২ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। উল্লেখ্য, এদিনই রাজ্যের বাজেট অধিবেশন।
[আরও পড়ুন: ‘সন্দেশখালিতে ১৭৪ ধারা চলছে’, বেফাঁস মন্তব্যে নেটপাড়ায় ট্রোলড নুসরত জাহান]
হিমাচল প্রদেশের বিধানসভায় ৬৮ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ২৫ জন বিজেপির (BJP)। রাজ্যে কংগ্রেস (Congress) বিধায়কের সংখ্যা ৪০। নির্দল বিধায়ক ৩ জন। যদি ওই ৩ নির্দল ও ৬ কংগ্রেস বিধায়ককে মুঠোয় রাখতে পারে বিজেপি তাহলে তারা পৌঁছে যাবে ৩৪-এ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩৫ বিধায়ক। অর্থাৎ আর দু-একজন কংগ্রেস বিধায়ককে নিজেদের দিকে নিতে পারলেই হিমাচলেও ‘অপারেশন লোটাস’ সাফল্য পাবে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার আস্থা ভোটের প্রস্তাব পেশ থেকে পরিষ্কার, বিজেপি জয়ের জন্য মরিয়া। দেশে মাত্র তিনটি রাজ্যে রয়েছে কংগ্রেসের সরকার। সেখান থেকে হিমাচলও হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।