shono
Advertisement

পুলিশি প্রতিরোধে রণে ভঙ্গ, দিনভর তাণ্ডবের পরও নবান্ন পৌঁছনো হল না বিজেপির

ব্যারিকেড ভাঙচুর, পুলিশের উপর হামলা, পালটা লাঠিচার্জে অগ্নিগর্ভ হাওড়া ও কলকাতা।
Posted: 03:59 PM Oct 08, 2020Updated: 10:19 AM Oct 09, 2020

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নবান্ন (Nabanna) অভিযানের কথা আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিতে ছিল না কোনও খামতি। কোভিড পরিস্থিতি সত্ত্বেও জড়ো হয়েছিলেন বিজেপির বহু নেতাকর্মী। রাজ্যের প্রশাসনিক দপ্তর ঘেরাওয়ের উদ্দীপনাও তাদের কম ছিল না। তবে রাজ্য প্রশাসন  মিছিলের অনুমতি দেয়নি। প্রত্যাশামতোই এদিন বিজেপির কর্মীদের পদে পদে বাধা দিয়েছে পুলিশ। প্রতিরোধ থাকলেও, কর্মসূচি নিয়ে বারবার অনড় মনোভাবই দেখিয়েছিল বিজেপি (BJP)। ব্যারিকেড ভাঙচুর, পুলিশের উপর হামলা, সবই করেছে তাঁরা। কিন্তু পালটা লাঠিচার্জে কার্যত রণে ভঙ্গই দিতে হল গেরুয়া শিবিরকে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদর সরিয়ে নবান্নে পৌঁছনো হল না বিজেপির।

Advertisement

নবান্ন অভিযান নিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা যে তৈরি হবে, তা আগেই আঁচ করেছিল রাজ্য প্রশাসন। তাই আগে থেকে আঁটসাঁট নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল নবান্নকে। হাওড়া ময়দান, হাওড়া ব্রিজ, হেস্টিংস সর্বত্র ব্যারিকেড করে দিয়েছিল পুলিশ। ব্যবস্থা ছিল জলকামানেরও। ড্রোন, দিকে দিকে ক্যামেরা, ব়্যাফ, পুলিশে মুড়ে ফেলা হয়েছিল রাজ্যের প্রশাসনিক দপ্তর। তাই মিছিল শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে তা রুখে দেওয়া হয়। প্রথম উত্তেজনা তৈরি হয় সাঁতরাগাছিতে। সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ছিলেন ওই মিছিলে। ব্যারিকেড ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই রঙ মেশানো জল স্প্রে করা শুরু হয়।

তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজু। বর্তমানে হাসপাতালে ভরতি তিনি। দফায় দফায় উত্তেজনা তৈরি হয় জিটি রোড এবং হাওড়া ময়দানে। সেখানে বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছে। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ধৃত ওই ব্যক্তি তেজস্বী সূর্যের ঘনিষ্ঠ। কিছুক্ষণের জন্য অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় হাওড়া ব্রিজেও। সেখানে দিলীপ ঘোষকেও লাঠির ঘা খেতে হয় বলেই অভিযোগ। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, লাঠির আঘাতে নাকি তিনি মাটিতে পড়েও যান।

[আরও পড়ুন: বিজেপির নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার, গুরুতর অসুস্থ রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, ভরতি হাসপাতালে]

হেস্টিংসেও তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন মিছিলকারীরা। তাতেও বাধা দেয় পুলিশ (Police)। পালটা ইটবৃষ্টি এমনকী কাচের বোতলও পুলিশকর্মীদের দিকে ছোঁড়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

এখানে ছিলেন অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ আরও অনেকে। ২০২১ সালে বিজেপি নবান্নে পৌঁছে যাবে বলেই মিছিল থেকে দাবি করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, পুলিশের হামলায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

তবে এত কিছুর পরেও গেরুয়া শিবিরের একজনও নবান্নে পৌঁছতে পারেননি। 

দেখুন ভিডিও:

[আরও পড়ুন: কর্মরত অবস্থায় মৃতের চাকরি পাওয়া স্ত্রী-সন্তানের অধিকার নয়, রায়ে জানাল কলকাতা হাই কোর্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement