রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রক্তদান শিবিরেও (Blood Donation Camp) এবার লাগল রাজনীতির রং। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বলিদান দিবসে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে বিজেপি। তবে তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে প্রশাসনের তরফে ওই রক্তদান শিবিরে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। তারই প্রতিবাদে হাজরা পার্কে ধরনায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক কর্মী-সমর্থক।
বিজেপির (BJP) দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে রক্তদান হচ্ছে না বেশিরভাগ জায়গায়। বহু হাসপাতালই ভুগছে রক্তশূন্যতায়। সেকথা মাথায় রেখেই প্রতি বছরের মতো এদিনও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। তবে প্রশাসনের তরফে মেলেনি সবুজ সংকেত। তাই বাধ্য হয়ে রক্তদান শিবির চালানো সম্ভব হয়নি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ক্ষুদ্র, সংকীর্ণ, নোংরা রাজনীতি করছে তৃণমূল। তাই গত ৪২ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে চলা রক্তদান শিবির পালন করতে দেয়নি প্রশাসন। তারই প্রতিবাদে হাজরা মোড়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ধরনা ও অবস্থান বিক্ষোভ পালন করা হয়। যদিও তৃণমূলের তরফে পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন! ধৃত ভুয়ো IAS]
অবশ্য গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর শুধুমাত্র রক্তদান শিবিরের অনুমতি না মেলাই নয় এছাড়াও একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ধরনা কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violation) নিয়ে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছে পদ্মশিবির। এই ইস্যুতে আপাতত তপ্ত রাজনীতির আঙিনা। ইতিমধ্যেই একাধিকবার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপাল ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন। দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন নালিশ। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বারবার একই ইস্যুতে চাঁচাছোলা ভাষায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। পালটা যদিও বারবারই ভোট পরবর্তী হিংসার বিরোধিতা করেছে তৃণমূল (TMC)।