রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল আর বিজেপির দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বাক তরজা নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিকবার বাগযুদ্ধে শামিল হয়েছেন তাঁরা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি তখনও দু’পক্ষের বিবাদ জারি রয়েছে। রুপোর মুকুট পরা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
শুক্রবার বীরভূমের নানুরে মিলন মেলায় গিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ওই মেলার উদ্যোক্তা দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে ২ কেজি ওজনের রুপোর মুকুট উপহার হিসাবে মাথায় পরিয়ে দেন। ওই মুকুট মাথায় দিয়েই মঞ্চে বসে থাকতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। যা নজর কাড়ে প্রায় সকলের। শনিবার সেই মুকুট নিয়েই খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন সকালে টালা পার্কে চা চক্রে যোগ দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর কটাক্ষ, “অনেকে ধরে নিয়েছেন, আর তো রাজা বা মন্ত্রী হওয়া যাবে না, তাই কেউ কেউ মুকুট পরছেন।” গতকাল মিলন মেলার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে স্বমেজাজে নাম না করে বিজেপিকে তোপও দেগেছিলেন অনুব্রত। গেরুয়া শিবিরকে ঠেঙিয়ে পগারপার করার নিদান দিয়েছিলেন তিনি। তারও পালটা জবাব দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “ওখানকার লোকেরা এর জবাব দিয়ে দেবে।”
[আরও পড়ুন: ‘বক্তব্য থাকলে দলের অন্দরে জানান’, ‘বেসুরো’ সাধনকে সতর্কবাণী ফিরহাদের]
শান্তিকুঞ্জে পদ্ম আগেই ফুটেছিল। তৃণমূল ছেড়ে আগেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার ফের শান্তিকুঞ্জে ফুটল পদ্ম। দাদার হাত ধরে ভাই সৌমেন্দুও যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। ভোটের আগে দলবদলে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল। জল্পনা শুরু হয়েছে তবে কী শুভেন্দু, সৌমেন্দুর মতোই শিশির কিংবা দিব্যেন্দু অধিকারীও যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরে? সেই জল্পনা জিইয়ে রেখে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “ওঁরা দু’জনেই সাংসদ, আসতেই পারেন। আমরা সবার জন্য দরজা খুলে রেখেছি।” আরও একবার বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাতেরও বার্তা দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, “মেদিনীপুর নিয়ে চিন্তা নেই। ৩৫টা আসন আমরাই জিতব। জঙ্গলমহল থেকে তৃণমূলকে ফাঁকা করা শুরু হয়েছে, গঙ্গা পর্যন্ত চলবে।” তবে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষের পালটা জবাব এখনও তৃণমূলের তরফে পাওয়া যায়নি।