জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন। বাংলা দখলই লক্ষ্য বিজেপির। তাই ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে উত্তাপ। এই আবহে আরও একবার রাজ্য দখলের বিষয়ে প্রত্যয়ের সুর শোনা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গলায়। তৃণমূলকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঝাড়ু দিয়ে আগামী মে মাসে পরিষ্কার করে দেবে বলেও তোপ দাগলেন তিনি।
শুক্রবার সকালে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফল নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “একুশের ভোটেই দেখা যাবে কী হয়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঝাড়ু দিয়ে তৃণমূলকে আগামী মে মাসে পরিষ্কার করবে।” খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) গড়ে গেলেও তাঁকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “আমার বাক্যবাণ ওরা হজম করতে পারছে না। সত্য বলার কেউ নেই।” পাশাপাশি সিউড়িতে ‘হামলা’ প্রসঙ্গেও তৃণমূলকে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “যাদের মনটা দূষিত তারা সব জায়গায় নোংরা দেখেন। বাংলাকে দূষিত করে দিয়েছেন তারা। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করবে আগামী মে মাসে।”
দিনকয়েক ধরে বাংলার রাজনীতি বহিরাগত ইস্যুতে সরগরম। বৃহস্পতিবারও নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে (BJP) বহিরাগত বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এইসব তথ্যে আর কাজ হবে না, বাংলার মানুষ এসব মেনে নেবে না।।” শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) রাজ্যপালকে ইতিমধ্যেই একহাত নিয়েছেন। করেছেন মামলা তোলার আরজিও। আর তারই বিরোধিতায় সরব গেরুয়া শিবির। তাই তৃণমূল সাংসদকেও একহাত নেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “প্রলাপ বকে উনি পার্টির শেষ পেরেকটা পুঁতে দেবেন।”
[আরও পড়ুন: থামছে না টুইট যুদ্ধ, ফের প্রশাসনিক আধিকারিকদের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ধনকড়ের]
যোগদান মেলা কর্মসূচিকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার রাতেই বনগাঁ শহরের পা রেখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সকালে কয়েকশো কর্মী নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন তিনি। বনগাঁ পিডব্লুডি বাংলো থেকে বেরিয়ে মতিগঞ্জ, বাটামোড় হয়ে ত্রিকোণ পার্কের নীলদর্পন ভবনের সামনে এসে শেষ হয় প্রাতঃভ্রমণ। নীলদর্পন ভবনের সামনে বসে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে চা খান তিনি। তার সঙ্গে চায় পে চর্চায় ছিলেন উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক-সহ একাধিক নেতা কর্মীরা। তবে এদিনে চায় পে চর্চা অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে৷ কেন গরহাজির শান্তনু, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। যদিও এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “উনি মতুয়াদের সংগঠন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। প্রাতঃভ্রমণে সবাই যে আসতে পারবেন এমন কোনও কথা নেই।”