সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বালানির ভ্যাট কমানোর দাবিতে বিজেপির (BJP) মিছিলকে কেন্দ্র করে মুরলীধর সেন লেনে ছড়াল উত্তেজনা। শুরুতেই মিছিল আটকাল পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরের সামনে একের পর এক ব্যারিকেড করে পুলিশ। সবদিক থেকে আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। তার প্রতিবাদে সরব গেরুয়া শিবির। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা।
জ্বালানির জ্বালা ক্রমশই বাড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার পেট্রল এবং ডিজেলে লিটার প্রতি যথাক্রমে ৫ এবং ১০ টাকা শুল্ক কমায় কেন্দ্র। যা কার্যকর হয় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে। তবে এখনও ভ্যাট কমায়নি রাজ্য সরকার। তারই প্রতিবাদে সোমবার বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তর মুরলীধর সেন লেন থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করার কথা ঘোষণা করে বিজেপি। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মিছিলের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় রাস্তায় ফেলে যুবকের বুকে পা সিভিক ভলান্টিয়ারের! নিন্দায় সরব পুলিশ কমিশনার]
পুলিশের অনুমতি না পেলেও ‘মানুষের স্বার্থে’ মিছিলের সিদ্ধান্তে অনড় বিজেপি। নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ মুরলীধর সেন লেনে জড়ো হন অগণিত বিজেপি কর্মী-সমর্থক। ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), রাহুল সিনহা, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, জগন্নাথ সরকার-সহ অনেকেই। তবে মিছিল শুরুর সময়ই তা আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপির সদর দপ্তরের সামনে একের পর এক ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান জগন্নাথ সরকার।
মিছিল করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরক্ত গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কেন্দ্র সরকার শুল্ক কমিয়েছে। কেন রাজ্য সরকার ভ্যাট কমাচ্ছে না? কর ছাড়া দিয়ে জনগণের সুবিধা করুন। আমাদের দাবি ভাতা নয়, চাকরি চাই। যত মারবেন বিজেপি তত বাড়বে।” বাড়তি বিদ্যুতের মাশুল কমানোরও দাবি জানান শুভেন্দু। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলাতেও একই সুর। তিনি বলেন, “মানুষ বিহার যাচ্ছে কম দামে জ্বালানি কিনতে। এত কাটমানি খেলে কীভাবে দাম কমবে?” বিজেপির ভয়ে মিছিল আটকানো হয়েছে বলেই অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। মঙ্গলবার পেট্রল পাম্প প্রতিবাদ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত বিজেপির। বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজ্যের প্রত্যেকটি পেট্রল পাম্পে সচেতনতামূলক প্রচার করবে গেরুয়া শিবির। পরবর্তীকালে বিদ্যুতের মাশুল কমানোর দাবিতেও পথে নামার ভাবনা বিজেপির।