বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: দলের সংগঠন কোনও গবেষণাগার নয়। পরীক্ষানিরিক্ষা বন্ধ করে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। নইলে দল বাধ্য হবে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha) আগেই সংগঠনে রদবদল করতে। বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষনেতা সুকান্ত মজুমদার ও অমিতাভ চক্রবর্তীকে দিল্লিতে তলব করে কড়া ধমক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।
বুধবার এই দুই নেতার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন বিজেপির সাংগাঠনিক সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ (BL Santosh)। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলার সংগঠন নিয়ে বৈঠকে বসবেন বলে সূত্রের খবর। প্রথমে অমিত শাহ। একমাসের মধ্যেই জেপি নাড্ডা। সঙ্গী সংগঠনের আরেক শীর্ষনেতা বিএল সন্তোষ। বাংলায় দলের ছন্নছাড়া অবস্থার কারণ অনুসন্ধানে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের দফায় দফায় সফর। কিন্তু অমিত শাহ (Amit Shah) বা নাড্ডাদের অভিজ্ঞতা মধুর নয় বলেই গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, বৃহস্পতিবার থেকে রান্নার গ্যাসের নতুন সংযোগেও বাড়তি খরচ]
মূলত, রাজ্যে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতাদের একতরফা সিদ্ধান্ত, পুরনো নেতা কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও ঘনিষ্ঠদের প্রাধান্য দেওয়ার জন্য বঙ্গে দলের ছন্নছাড়া অবস্থা মনে করেন। তাই বুধবার দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় বঙ্গ বিজেপির দুই নেতা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অমিতাভ চক্রবর্তীকে। সূত্রের খবর, এদিন বৈঠক করেন বি এল সন্তোষ। কোনও রাখঢাক না করেই বঙ্গের দুই নেতাকে কড়া কথা শোনান সন্তোষ। প্রথমেই বলে দেন, বসে যাওয়া পুরোনো নেতা কর্মীদের সক্রিয় করার পাশাপাশি দায়িত্ব দিয়ে কাজ করাতে হবে।
[আরও পড়ুন: রাহুলকে ইডির জেরার নিন্দা মমতার, শুক্রবার ফের তলব প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে]
দায়িত্ব বণ্টন করতে না পারলে দিল্লি হস্তক্ষেপ করবে বলে সুকান্তদের জানান সন্তোষ। যেভাবে বাংলায় সংগঠন চলছে তাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হতে বাধ্য। এমনটা হোক চায় না কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই কী কী করতে হবে সেই রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। সংগঠন মজবুত করতে সংঘ (RSS) ও দলের কাছ থেকে রাজ্য নেতারা কী আশা করেন তাও জানতে চাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।