রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আদালত রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি। বরং আলোচনা সাপেক্ষে প্রশাসনকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শনিবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীও। রথযাত্রা নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুখ্যসচিবকে ওই দুই বিজেপি নেতা চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, রবিবার অর্থাৎ আগামিকাল কাকদ্বীপে রথযাত্রা কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। তবে ১৪ তারিখ তারাপীঠে রথযাত্রা হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
[ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল, রণক্ষেত্র মুচিবাজার]
এ রাজ্যে বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে এখন চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা। লোকসভা ভোটের মুখে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে তিনটি রথ বের করার পরিকল্পনা করেছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। ঠিক ছিল, শুক্রবার উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু হবে কর্মসূচি। কোচবিহারে জনসভা করে রথযাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। রথযাত্রার অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে আবেদনও করেছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। কিন্তু, অনুমতি তো মেলেইনি, উলটে রথযাত্রা কর্মসূচির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দেয় হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চ। মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে। শুক্রবার দিনভর শুনানির পর বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি-কে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেয় বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশে মেনেই রথযাত্রা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
শনিবার নবান্নে গিয়ে লিখিতভাবে প্রশাসনকে রথযাত্রা নিয়ে আলোচনা বসার প্রস্তাব দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে চিঠি তুলে দিয়েছেন তাঁরা। তবে এখনই আইনি লড়াইয়ের পথ থেকেও সরছে না বিজেপি। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করল তারা। অর্থাৎ রথযাত্রা নিয়ে মামলা যদি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়, সেক্ষেত্রে বিজেপির বক্তব্য না শুনে রায় দিতে পারবে না শীর্ষ আদালত।
[ এবার ঘরে বসেই কাটা যাবে মেট্রোর টিকিট, ইস্ট-ওয়েস্টে QR Code ব্যবস্থা]
The post রথযাত্রা ইস্যুতে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে নবান্নে বিজেপির প্রতিনিধি দল appeared first on Sangbad Pratidin.