সুব্রত বিশ্বাস: হকারদের পাশে দাঁড়িয়ে এবার রেল প্রশাসনকে চরম হুমকি দিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। শীঘ্রই স্টেশন চত্বরে হকারদের ব্যবসা করার অনুমতি না দিলে ডিআরএমের বিরুদ্ধে এফআইআই দায়ের করার হুমকি দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: এবার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলেও ভাঙন, দল ছাড়লেন সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম]
বৃহস্পতিবার রাতে হাওড়া স্টেশনের বাইরে জনসভা থেকে হুমকির পাশাপাশি তিনি হকারদের আশ্বস্ত করে বলেন, “রেল কেন্দ্রের। আর তা বিজেপি শাসিত। রেল স্টেশন, স্টেশন চত্বর ও ট্রেনে হকারিতে বাঁধা দিলে ডিআরএমের বিরুদ্ধে এফআইআর করার হবে।” এছাড়া, আরপিএফ, জিআরপিকেও ‘তোলা আদায়’ থেকে বিরত থাকার হুমকি দেন তিনি। হকারিতে বাঁধ দিলে ব্যবস্থার চরম হুমকির পাশাপাশি রেলের ফাঁকা জায়গায় হকারদের ব্যবসা করতে দেওয়ার জন্য বিজেপি রাজ্যের আওতায় সব ডিআরএমদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
নিউ নর্মালে ট্রেন চলছে। দীর্ঘ আট মাসের বেশি সময় ধরে কাজ বন্ধ রেল হকারদের। শিয়ালদহ স্টেশনে বসার সুযোগ পেলেও হাওড়া স্টেশনে হকারদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে অসংখ্য হকার চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। রেল রাজ্যের কোভিড বিধি দেখিয়ে হকারদের বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। শঙ্কু বলেন, “রাজ্য বেকারদের চাকরি দিতে পারছে না। এই অবস্থায় হকারি ছাড়া বাঁচার পথ কোথায়।” এদিকে, বিজেপি নেতাদের এই আশ্বাসে হাওড়া হকারদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের হকার নেতাদের একাংশের মত, রেলকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধান করছেন না সংগঠনের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসে নিজেদের হকার সদস্যরা আস্থা হারিয়ে ফেলবে।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলার সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা রেল হকারদের পাশে সব সময় রয়েছি।” এনিয়ে কেউ মিথ্যে আশ্বাস দিলে বিভ্রান্ত না হওয়ার আবেদন জানান তিনি। রাজ্যজুড়ে কয়েক লক্ষ্য রেলহকার রয়েছেন। সামনে নির্বাচন। ফলে এদের মন পাওয়ার জন্য সচেষ্ট হবে সব দলই। তবে তাঁরা কার্যত নানা বৈষম্যের শিকার বলে দাবি করেছেন রেল হকাররা। আরপিএফ, জিআরপি, রেল কর্তাদের একাংশকে নানা ভাবে সন্তুষ্ট রাখতে হয়। তারপরও তাদের ধরে নানা আইনে গ্রেপ্তার করা, মারধর করে হয়রানি করা হয় বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।