শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: দেশজুড়ে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। আগামী ৪ জুন ফলপ্রকাশ। তবে তার আগে ফলাফল নিয়ে হুঙ্কার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
তিনি বলেন, "তৃণমূলের থেকে একটি আসন হলেও বেশি পাবে বিজেপি।" যদিও গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৩০ আসনে জয়ের টার্গেট বেঁধে এগিয়েছে বলেই জানান সুকান্ত। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, এই দাবি ভিত্তিহীন। আগামী ৪ জুন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সবুজ আবির খেলবে বলেই ভোট শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে গর্জে ওঠেন শশী-ব্রাত্যরা।
[আরও পড়ুন: ভোট সপ্তমীতেও বঙ্গে বজায় অশান্তির ট্র্যাডিশন, তবে প্রাণহানি রুখতে সফল কমিশন]
এদিনই ছিল ডায়মন্ড হারবারে ভোটাভুটি। সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কেও একহাত নেন সুকান্ত। ওই লোকসভা কেন্দ্র থেকে মৃদু অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। বলেন, "ডায়মন্ড হারবারে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।" ভোটে কেন ভয় পান অভিষেক বন্দোপাধ্যায়,সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। অন্যদিকে, বেলেঘাটার 'বাহুবলী'র অফিসে আচমকাই তৃণমূলের তারকা প্রচারক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)উপস্থিতি প্রসঙ্গেও তোপ দাগেন সুকান্ত। বলেন, "রাজু নস্করের পায়ে গিয়ে নাক ঘসলেও উত্তর কলকাতায় সুদীপ বন্দোপাধ্যায় জিতবেন না। জিতবেন তাপস রায়।"
ভোট দিতে গিয়ে এদিন মিঠুনকে 'চোর' স্লোগান শুনতে হয়। সেই ইস্যুতেও সুর চড়ান সুকান্ত। তাঁর কটাক্ষ, "যারা চোর বলেছেন, তাদের পেটে বিদ্যে নেই।" উল্লেখ্য, সপ্তম দফা ভোটের দিন জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আটক দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে জলপাইগুড়িতে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখানে দাঁড়িয়ে এই প্রসঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত।