সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: দলের তরফে দিল্লি থেকে পাঠানো দুর্গাপুজোর অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সামনেই অভিযুক্ত জেলা বিজেপি সভাপতির উপর চড়াও হন বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট (পূর্ব) বিধানসভা কেন্দ্রের ধামুয়ায়। পুজোর অনুদানের টাকা আত্মসাৎকারী জয়নগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে বহিষ্কারের দাবিও করেন বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীরা।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের সমস্ত পুজো কমিটিকে সরকারের তরফে অনুদান দিচ্ছেন। এবারও প্রতিটি কমিটিকে ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছেন তিনি। বস্তুত, এই অনুদানের প্রথম থেকে বিরোধিতা করা বিজেপি চাপে পড়ে এবছর গেরুয়াপন্থী পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দেয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই টাকা পাঠায়। কিন্তু সেই টাকা জেলার কোনও বিজেপি নেতাদের পুজোয় পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেককে তলব ইডি’র]
বস্তুত, এই চাঞ্চল্যকর তথ্য এদিন প্রকাশ্যে এসেছে স্বয়ং দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সামনেই। মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ধামুয়ায় একটি গেস্ট হাউসে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে আসেন দিলীপবাবু। তিনি প্রবেশ করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখানে আসেন জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উৎপল নস্কর। আর তাঁকে দেখামাত্রই দলীয় কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সরাসরি পুজোর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে উৎপলের উপর চড়াও হয় কর্মীদের একাংশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। হাতাহাতিও চলে দু’পক্ষের মধ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্বয়ং দিলীপ ঘোষও।
বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, ‘‘দুর্গাপুজোয় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক জেলার ক্লাবগুলোর জন্য আর্থিক অনুদান পাঠানো হয়েছিল। সেই টাকা জেলা সভাপতি ক্লাবগুলোকে না দিয়ে বেশিরভাগ অংশই নিজে আত্মসাৎ করেছেন।’’ জয়নগরের মতো অন্য জেলাগুলিতেও বিজেপি নেতারা এমনভাবে পুজোর অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করেছেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে হাঙ্গামার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘কে কী টাকা নিয়েছে, কোথায় নিয়েছে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট ফোরামে অভিযোগ করা উচিত। ভারপ্রাপ্ত দলীয় নেতৃত্ব নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবেন।’’