ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ফের বিজেপি-তৃণমূল (BJP-TMC) সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূমের ইলামবাজার। লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক মারধরের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শনিবার সন্ধের পর উত্তপ্ত ইলামবাজারের শীর্ষা এলাকা। আহত বিজেপি কর্মীদের প্রথমে ইলামবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইলামবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যথারীতি অস্বীকার করেছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধে নাগাদ শীর্ষা অঞ্চলে বিজেপি বুথ সভাপতির বাড়িতে কাজের জন্য গিয়েছিলেন বোলপুর বিধানসভার বিস্তারক অসীম প্রতিহার এবং বুথ সহ-সভাপতি বুবাই হাজরা। অভিযোগ, শীর্ষার তৃণমূল কর্মীরা সেসময়ই তাঁদের হুমকি দেয়। কেন ওই এলাকায় বিজেপি কর্মীরা ঢুকেছেন, তা নিয়ে শাসানো হয়।
[আরও পড়ুন: সুখবর! গত কয়েকমাসে রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্ত সর্বনিম্ন, কলকাতা নিয়ে জারি চিন্তা]
এরপর তাঁরা কাজ সেরে বাইকে করে ফেরার পথে বন নবগ্রামের কাছে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের পথরোধ করে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ। বাইকে থেকে নামিয়ে লোহার রড, বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। জখম অবস্থায় তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করে ইলামবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই আপাতত তাঁদের চিকিৎসা চলছে। উভয়েই বেশ আঘাত পেয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: রেলের পরিত্যক্ত কোচ থেকে উদ্ধার কর্মীর ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ঘনীভূত রহস্য]
এদিকে, ঘটনায় অভিযোগ তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ব্লক সাধারণ সভাপতি অনিল চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা হুমকি দিয়েছিল, তারাই হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ তরুর পালটা দাবি, মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। তৃণমূল এর সঙ্গে জড়িত নয়, এটা বিজেপিরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। বীরভূমে সদ্যই সভা করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৯ তারিখ বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সেখানে যাবেন জনসভায়। তার আগে বিজেপি কর্মীদের উপর এই হামলায় রাজনৈতিক উত্তাপ চড়বে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।