সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভার আগে ব্যাপক টাকা ছড়ানোর অভিযোগ ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। বিরোধীদের দাবি ছিল, বিজেপির অর্থবলের কাছে পরাস্ত হয়েছে বিরোধীদের জনসমর্থন। সেই অভিযোগের সত্যতা প্রশ্নাতীত না হলেও, বিজেপি যে অন্য রাজনৈতিক দলগুলির তুলনায় অনেকটাই ধনী তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআরের দেওয়া তথ্য সেকথায় প্রতিষ্ঠিত করছে। পরিসংখ্যান বলছে, শুধু সম্পত্তির নিরিখে নয় সম্পত্তি বৃদ্ধির নিরিখেও অন্য বিরোধীদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: থামছে না গণপিটুনি, পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার আসরে অমিত শাহ]
বুধবারই দেশের সাতটি জাতীয় দলের সম্পত্তির পরিসংখ্যান দিয়েছে এডিআর। তাতে দেখা যাচ্ছে, একবছরে বিজেপির সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ২৭০ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে যেখানে গেরুয়া শিবিরের সম্পত্তি ছিল ১২১৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮৩ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। সম্পত্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও বিজেপির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, অন্য রাজনৈতিক দলগুলির যেখানে গত ১ বছরে সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে কংগ্রেসের সম্পত্তি সেখানে বেশ খানিকটা কমে গিয়েছে। ২০১৬-১৭ সালে শতাব্দীপ্রাচীন দলটির সম্পত্তি ছিল ৮৫৪.৭৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ সালে তা কমে হয়েছে ৭২৪.৩৫ কোটি।
[আরও পড়ুন: ‘পিৎজা ডেলিভারি করছি না বিল পাশ!’, কেন্দ্রকে কটাক্ষ ডেরেকের]
তবে, সম্পত্তির নিরিখে সবচেয়ে বড় চমক দিয়েছে মায়াবতীর দল বিএসপি। সংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় ক্রমশ শক্তি হারানো বিএসপির সম্পত্তি প্রায় কংগ্রেসের সমান। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে মায়াবতীর দলের সম্পত্তি ছিল প্রায় ৭১৬ কোটি টাকা। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের তুলনায় তা বেড়েছে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। রাজনৈতিক দলগুলির সম্পত্তির নিরিখে চতুর্থ স্থানে সিপিএম। তাদের সম্পত্তির পরিমাণ ৪৮২ কোটি টাকা। সে তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তাদের সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ২৯ কোটি টাকা। একবছরের ব্যবধানে তা বেড়েছে মাত্র ৩ কোটি। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তৃণমূলের সম্পত্তি ছিল ২৬.২৫ কোটি টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে, তৃণমূল গরিবের পার্টি। এডিআরের রিপোর্ট সেই দাবিকেই প্রতিষ্ঠিত করল।
The post এক বছরে বিজেপির সম্পত্তি বাড়ল ২৭০ কোটি, ধারেকাছে নেই তৃণমূল appeared first on Sangbad Pratidin.