সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামা মসজিদ আসলে যমুনা দেবীর মন্দির, বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ার। এদিন তিনি বলেন, ‘মোঘল সম্রাটরা প্রায় ৬০০০ ঐতিহাসিক সৌধ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। দিল্লির জামা মসজিদ আসলে ছিল যমুনা দেবীর মন্দির, তাজমহল ছিল তেজো মহালয়া।’
[দলিত বিয়ে করলে শর্ত ছাড়াই আড়াই লক্ষ, নির্বাচনী মরশুমে দরাজ কেন্দ্র]
তাঁর সংযোজন, মুসলিমরা দেশের বহু ঐতিহ্যশালী ইমারতকে ভেঙে ফেলেছে। কিন্তু হিন্দুরা রাম জন্মভূমি, কাশীর বাবা বিশ্বনাথের মন্দির বা মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমিকে মুসলিম শাসকদের অত্যাচার থেকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। আপাতত রাম জন্মভূমির দাবি থেকে যে বিজেপি কোনওমতেই সরে আসবে না, সেকথাও স্পষ্ট করেছেন বিজেপির এই বিতর্কিত নেতা।
কাটিয়ারের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন অল ইন্ডিয়া ইমাম ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ইমাম সাজিদ রশিদি। তাঁর দাবি, দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছে বিজেপি। তিনি বলেন, ‘এ দেশের রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ জাতপাতের নাম মানুষের মনে ঘৃণার জন্ম দিয়ে তখত বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ভারত কখনই হিন্দু রাষ্ট্র হতে পারে না কারণ এ দেশে বহু ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষের বাস।’
ইমাম সাজিদ রশিদি বলছেন, ‘অযোধ্যা ইস্যু এখন মিটতে চলেছে। এবার কি তবে কাশী বা জামা মসজিদ নিয়েও বিজেপি দেশে বিদ্বেষের জন্ম দিতে চাইছে?’ কাটিয়ার অবশ্য কোনও সমালোচনায় কান দিতে নারাজ। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষে আইনজীবী কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলকে নিশানা করে তাঁর পালটা বক্তব্য, ‘রাম জন্মভূমিতে কংগ্রেস মসজিদ বানাতে চাইছে। কিন্তু আমরা সেটা কখনওই হতে দেব না।’ কংগ্রেস যদি অযোধ্যায় মসজিদ চায়, তাহলে পালটা বিজেপিও আরও ৬ হাজার জায়গায় হিন্দুদের একচ্ছত্র দাবি কায়েম করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
[‘লাভ জেহাদ’-এর বলি মালদার যুবক, জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ভিডিও ভাইরাল]
The post জামা মসজিদ আসলে যমুনা দেবীর মন্দির, বিজেপি নেতার দাবিতে বিতর্ক appeared first on Sangbad Pratidin.