সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্দো-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল নতুন ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি কালো ত্রিপল। তাহলে এই ত্রিপল কী লালফৌজের উপস্থিতির প্রমাণ? এই ছবি ঘিরেই ফের চরমে উঠল উত্তেজনা। পাশাপাশি চোখে পড়ছে আরও কিছু সামরিক তৎপরতার চিহ্ন।
ইন্দো-চিন সীমান্তের প্রকৃত পরিস্থিতি কী? চিনের লালফৌজ কী ভারতের দিকে এগিয়ে আসছে? ভারতের মধ্যে প্রবেশ করলেও সেই স্থানটা ঠিক কোথায়? লাদাখ ইস্যুর পর থেকেই এরকম হাজারো প্রশ্ন ঘুরছে দেশবাসীর মনে। বিরোধীরা এই মর্মে বার বার জিজ্ঞাসা করছেন প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু তাতেও মুখে কুলুপ মোদি সরকারের। অথচ জল্পনা উস্কে উপগ্রহ চিত্রের ছবি জানান দিচ্ছে যে, নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি উপগ্রহ চিত্রের দেখা গিয়েছে, লাদাখ সেক্টরের ৯ কিমির মধ্যে প্রায় ১৬টি কালো ত্রিপল রয়েছে। আর এই ত্রিপলগুলিই যে লালফৌজের শিবির তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সামরিক স্তরের আলোচনাতেও যে চিনা বাহিনী নিজেদের শিবির সরানোর প্রতিশ্রুতি রাখেনি তা স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, এলএসি বরাবর ব্যাপক সামরিক সম্ভার বাড়াচ্ছে বেজিং (Beijing)। এই চিত্র পর্যবেক্ষণ করে এমন দাবি করা হয়েছে। তবে চিনা বাহিনীর উদ্যোগ ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সম্মুখ সমরের সম্ভাবনা তৈরি করছে বলেই মত প্রাক্তন সেনাকর্তাদের।
[আরও পড়ুন:কথা কাটাকাটির জের, উত্তেজনার বশে সহকর্মীকে এলোপাথাড়ি গুলি দিল্লির পুলিশ কনস্টেবলের]
গত ২২ জুন লেফট্যানেন্ট পদমর্যাদার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে দুটি দেশ সীমান্ত থেকে নিরাপদ দূরত্বে বাহিনী সরানোর পক্ষে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্র অন্য কথা বলছে। ২৫ ও ২৬ জুন প্রকাশিত এই চিত্রে এখনও বিতর্কিত এলাকায় চিন সেনার উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে লালফৌজের উপস্থিতি নিয়ে ভয় পাচ্ছে না ভারত। পরিবর্তে সীমান্তে স্থিতাবস্থা ভাঙার চেষ্টা করলে যে অভিঘাত অনিবার্য তা কড়া ভাষায় চিনকে জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি।
[আরও পড়ুন:অবশেষে শাপমুক্তি, কাশ্মীরে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেলেন ভিন রাজ্যের ২৫ হাজার নাগরিক]
শুক্রবারই বেজিং এর মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির জন্যে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা একটি অপরিহার্য শর্ত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে চিনের সেনাবাহিনীর এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনও শর্তই মেনে চলছে না। চিনের উচিত ভারতীয় সেনার সাধারণ টহলদারিতে বাধা সৃষ্টি না করা।” এখন দেখার এই বিষয়ে কেন্দ্র আদপেও কী সাফাই দেয়।
The post গালওয়ান উপত্যকায় কালো ত্রিপলের ছাউনি চিনাদের! নয়া উপগ্রহ চিত্রে বাড়ছে ধোঁয়াশা appeared first on Sangbad Pratidin.