সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কিন্তু ঠিক কী সাজা হচ্ছে সলমন খানের তা নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা দেখা দিল। প্রথমে প্রচারিত হয়ে যায় যে, দু বছরের সাজা হচ্ছে সলমন খানের। ফলে তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারেন। পরে জানা যায়, এখনও সাজা ঘোষণা হয়নি। এদিকে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় যাঁরা বেকসুর খালাস পেয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করতে চলেছে বিষ্ণোই সম্প্রদায়।
[ কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দোষী সলমন, বাকিরা বেকসুর খালাস ]
বৃহস্পতিবারই যোধপুর আদালত কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় দোষী সাব্যস্ত করে সলমন খানকে। বিচারক দেবকুমার ক্ষেত্রি অবশ্য টাবু, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম ও সইফ আলি খানকে বেকসুর খালাস দেন। এরপর সলমনের কী সাজা হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। যানা যায় ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের ৯ ও ৫১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সলন। বিরল প্রজাতির প্রাণী শিকারের জন্য তাঁর সর্বোচ্চ ৬ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। এছাড়া হবে আর্থিক জরিমানা। এর মধ্যে সলমনের যদি তিন বছরের বেশি সাজা হয় তাহলে তাঁকে গারদের ওপারেই রাত কাটাতে হবে। যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় সলমনের, যেখানে এই মুহূর্তে আছেন আসারাম বাপু, শম্ভুলালের মতো অপরাধীরা। অন্যদিকে তিন বছরের কম সাজা হলে জামিনে মুক্ত হতে পারেন তিনি। পরে উচ্চ আদালতে সাজার বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারেন। জানা যাচ্ছে, আদালতের মধ্যেই অভিযুক্তের আইনজীবী ভিকট্রি সাইন দেখান। যা অনেক সাংবাদিক দু বছরের সাজা বলে ভুল করেন। সেইমতো খবর প্রচারিতও হয়। কিন্তু পরে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান ভবানী সিং জানাচ্ছেন, এখনও সাজা ঘোষণা হয়নি। সলমনের সর্বোচ্চ সাজার পক্ষেই আবেদন জানানো হবে।
[ বন্দুক কাঁধে ডাকাতরানি ভূমি, ছবি দেখে চমকে গেল নেটদুনিয়া ]
এদিকে যাঁরা বেকসুর খালাস পেয়েছেন তাঁদের সাজার জন্যও আদালতের আবেদন জানাতে চলেছে বিষ্ণোই সম্প্রদায়। যাঁরা কৃষ্ণসার হরিণকে সন্তানস্নেহে পালন করেন। সম্প্রদায়ের সংগঠনের তরফে জানানো হয়, আদালতের রায় বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। যাঁরা বেকসুর খালাস হয়েছেন তাঁদের সাজার জন্য আদালতের কাছে আরজি জানানো হবে। পাশাপাশি সলমনের সর্বোচ্চ সাজারও আবেদন করা হবে।
The post সলমনের সাজা নিয়ে ধোঁয়াশা, বেকসুর খালাসদেরও শাস্তি চায় বিষ্ণোই সম্প্রদায় appeared first on Sangbad Pratidin.