সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে মুম্বই পৌঁছলেন বলিউডের ‘ভাইজান’। তাঁর মুক্তির খবরে উচ্ছাসে ভাসছে অনুরাগী মহল। মুক্তির খবর পেয়ে উৎসবে মেতেছে সলমনের দুই রাখি বোন সাবা ও ফারহা। ‘ভাইজানে’র মুক্তিতে বিহারের বাসিন্দা দুই বোন এখন উৎসবের মেজাজে। বান্দ্রাতে ‘দাবাং স্টারের’ বাড়ির বাইরে এখন অনুরাগীদের ভিড়। একেবারে উৎসবের মেজাজ। তিলধারনের জায়গা নেই। সেখানে প্রিয় নায়কের কাটআউট থেকে শুরু করে পোস্টার, সব নিয়েই চলছে পাশে থাকার তোড়জোড়।
[কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় জামিন মঞ্জুর সলমনের, আদালতের বাইরে উৎসব]
যোধপুরের দায়রা আদালতের রায়ে জানানো হয়েছে, জামিনে মুক্তি পেলেও এখনই বিনা অনুমতিতে দেশ ছাড়তে পারবেন না সলমন। ৫০ হাজার টাকার বন্ডে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাত সাতটা নাগাদ তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে খবর।
তবে রাতারাতি জামিনে মুক্তি পেয়ে মুম্বইয়ে ফিরতে পারেননি ‘ভাইজান’। দুটি রাত তাঁকে যোধপুরে সেন্ট্রাল জেলে কাটাতে হয়েছে। সেই দুদিনের বন্দি জীবন কেমন ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পিছনের দিকে যদি তাকানো যায়, তাহলে একটা পুরোনো ভিডিও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। যেখানে জেলের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন সলমন। সেই অভিজ্ঞতা কতকটা এরকম, ‘সেখানে নয় থেকে ১০টি ঘর রয়েছে। প্রত্যেকটি ঘরে প্রায় ১০ জনের থাকার বন্দোবস্ত। প্রত্যেকটি ঘর পিছু একটি শৌচালয় ও একটি বাথরুম। বাকি অংশে জেলের অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম হয়। আমি খোলা মনে সেখানে গিয়েছিলাম। একেবারে শান্ত ছিলাম। শুধুমাত্র বাথরুম ও ডাস্টবিন নিয়েই একটু চিন্তা ছিল। তিন থেকে চারবার বাথরুমে গিয়েছি। কেউ তোমাকে যদি জেলের মধ্যে রাখে তখন শান্তভাবেই সেখানে যাও। যেহেতু জান যে তুমি নিজে থেকে কিছু করোনি, তখন মাথা উঁচু রাখো।’
[সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন পোস্ট, টুইটার প্রোফাইল হ্যাক-হুমকির অভিযোগ কপিলের]
এমনিতেই ২০ বছর পরে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন সলমন। সংশ্লিষ্ট হিন্দি ছবির আর চার অভিনেতা অভিনেত্রী বেকসুর খালাস পেলেও তাঁর পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। এরপরেই মুক্তির ব্যবস্থা করতে শুরু হয়ে যায় দৌড়ঝাঁপ। এরই মধ্যে জেলের ভিতরে তাঁর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সলমনকে ৫ বছরের সাজা শুনিয়েছেন যে বিচারক, সেই দেব কুমার খাতরি-সহ মোট ৮৭ জন জুডিশিয়াল অফিসারকে বদলির নির্দেশ দেয় রাজস্থান হাই কোর্ট। বিচারক জোশীকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজস্থানের সিরোহতে। তাঁর জায়গায় আসবেন ভিলওয়ারার সেশন বিচারক চন্দ্র কুমার সোঙ্গারা। বিচারপতি খাতরির জায়গায় আসছেন সমরেন্দ্র সিং শিকারওয়ার। তিনি এর আগে উদয়পুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। বিচারক খাতরিই সলমনকে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে ৫ বছরের কারাবাসের সাজা শোনান। সঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানা। কিন্তু এবার স্বস্তিতে সলমনের পরিবারের। মনে করা হচ্ছে, সপ্তাহান্তের ছুটিটা বাড়িতেই কাটাতে পারবেন সল্লু।
The post ভাইজানের মুক্তিতে উৎসবে মাতল বিহারের ২ রাখি বোন appeared first on Sangbad Pratidin.