অর্ণব দাস, বারাকপুর: রাজ্যে ফের বোমা বিস্ফোরণ। প্রাণ গেল এক তরুণের। উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া থানার অদূরের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বোমা কোথা থেকে পাওয়া গেল, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া থানার পিছন দিকের মাঠে আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন শেখ সাহিল নামে তরুণের দাদু। স্টিলের একটি কৌটোর মতো সামগ্রী পান তিনি। ওই কৌটোটি বালতিতে ভরে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ওই কৌটোটি তরুণের হাতে চলে আছে। কৌটৌটি বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্ট ছুঁড়ে মারেন তিনি। সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটে। প্রায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যান শেখ সাহিল।
[আরও পড়ুন: প্রেমের অছিলায় নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ’, সন্তান জন্মের পর জানাজানি, গ্রেপ্তার যুবক]
গুরুতর আহত অবস্থায় শেখ সাহিলকে উদ্ধার করে প্রথমে বারাকপুর বি এন বোস মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে সাগর দত্ত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। তবে চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বোমা কীভাবে ওই আবর্জনার স্তূপে এল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রহড়া থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, গত মাসে মালদহের কালিয়াচকের গোপালনগর গ্রামে বোমা বিস্ফোরণ হয়। জখম হয় পাঁচ স্কুলপড়ুয়া। এই ঘটনা সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (NCPCR) রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করল। আগামী ২০ মে, দুপুর তিনটেয় ঘটনার রিপোর্ট-সহ কমিশনের সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে বলা হয়েছে।