সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার, উত্তরপ্রদেশের পর এবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) নদীতে ভাসতে দেখা গেল মৃতদেহ। পান্না জেলার রুঞ্জ নদীর তীরে ভেসে ওঠে দু’টি মৃতদেহ। কোভিড পরিস্থিতিতে যা ফের আতঙ্ক সৃষ্টি করল। যদিও প্রশাসনের দাবি, মৃতদের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের কোনও সম্পর্ক নেই। দু’জনেরই মৃত্যুর কারণ ভিন্ন।
করোনার (Corona virus) দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুমিছিলের সাক্ষী হচ্ছে দেশবাসী। মৃতদেহের স্তূপ থেকে গণচিতা- কার্যত নরকের ছবি ফুটে উঠেছে বারবার। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি আবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে গঙ্গা-যমুনায় ভেসে ওঠা সার সার দেহগুলি। বিহারের বক্সারে কমপক্ষে ৭১টি দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়েছিল তীব্র আতঙ্ক। যদিও সব দায় উত্তরপ্রদেশের দিকে ঠেলে দেয় বিহার প্রশাসন। আবার উত্তরপ্রদেশে যমুনা নদীর তীরেও ধরা পড়ে একইরকম দৃশ্য। সংক্রমণের ভয়ে শিউরে ওঠেন সেখানকার বাসিন্দারা। এবার শিরোনামে মধ্যপ্রদেশ। মঙ্গলবার সে রাজ্যের পান্নায় রুঞ্জ নদীতে ভেসে ওঠে জোড়া দেহ। যদিও স্থানীয়দের দাবি, নদীতীরে চার-পাঁচটি মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছে। এই নদীর জলই নাকি পানীয় হিসেবে বাড়িতে রাখেন সেখানকার গ্রামবাসীরা। স্বাভাবিকভাবেই তাই সেখানে মৃতদেহ ভাসায় সংক্রমণের ভয়ে সিঁটিয়ে যান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারালেন ৪২০৫ জন, দৈনিক আক্রান্তের থেকে বেশি সুস্থতার হার]
তবে পান্নার ডিসট্রিক্ট কালেক্টর জানান, পাঁচ-ছয় নয়, দুটি দেহেরই খোঁজ মিলেছে। যাঁদের কেউই করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। মৃতদের একজন ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছিলেন। অন্যজনের বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। বয়সজনিত কারণে তিনি মারা গিয়েছেন। দুজনেরই বাড়ি নন্দনপুর গ্রামে। গ্রামের প্রধানের দাবি, দীর্ঘদিনের প্রথা মেনেই এর সৎকার না করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য দেহ দুটি উদ্ধার করে কবর দেওয়া হয়। তবে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের পর এই ঘটনায় দেশবাসীর মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর ও বালিয়া জেলায় গঙ্গা থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত দেহ সৎকার করা হল প্রশাসনিক উদ্যোগে। কোথা থেকে মৃতদেহগুলি এল, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।