নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বরে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু। এলাকারই গাছ থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, খুন করার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের দলের কর্মীকে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পূর্ণচন্দ্র সাহা। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের (Mayureswar) ১ নম্বর ব্লকের বড়তড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বিজেপির দাবি, দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন পূর্ণচন্দ্র। বিধানসভা নির্বাচনে প্রচুর কাজ করেছেন। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পূর্ণচন্দ্র। এরপর আর ফেরেননি। অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁর খোঁজ খবর শুরু করে। কিন্তু কোথাও হদিশ মেলেনি। এরপর সকালে গ্রামের বড়ি পুকুরের আমগাছে যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে করোনাতঙ্কের মাঝেও নিয়ন্ত্রণে বাংলার কোভিড গ্রাফ, সুস্থ প্রায় ৯৯ শতাংশ]
এরপরই খবর দেওয়া হয় পূর্ণচন্দ্রের বাড়ি ও থানায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে এলাকার বিজেপি নেতা অমৃতলাল মণ্ডল বলেন, “পূর্ণচন্দ্রকে খুন করা হয়েছে। আমরা যখন যাই, তখন দেখি দুটি পা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। গাছে ঝুলছে দেহ। সামনে পড়ে ছিল ব্লেড।”
বিজেপির দাবি, খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে পূর্ণচন্দ্রকে। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দুটি তত্ত্ব। সক্রিয় বিজেপি কর্মী হওয়ার কারণে খুন করা হতে পারে পূর্ণচন্দ্রকে। এদিকে জানা গিয়েছে, মৃতের ভাগ্নে বিদ্যুৎ নাথের এলাকায় বহু টাকা ঋণ ছিল। তা শোধ না করে এলাকা ছেড়েছিলেন তিনি। সেই প্রতিশোধ তুলতেও খুন করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও সবটাই অনুমান। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দ্রুতই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে।