সুব্রত বিশ্বাস: লটারি কিনতে গিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ধার। শোধ দিতে না পেরে আত্মঘাতী ব্যবসায়ী! মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতার বেহালায় (Behala)। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম বিশ্বজিৎ ঘোষ। বেহালার সত্যেন রায় রোডের বাসিন্দা তিনি। গত সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হন বিশ্বজিৎ। মোবাইল ফোনটি বাড়িতেই রেখে বেরিয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। ফোন না থাকায় পরিবারের লোকেরা যোগাযোগও করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে রাতে বেহালা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এরপর গভীর রাতে নিউ আলিপুর স্টেশন থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির দেহ।
[আরও পড়ুন: পোশাকের মধ্যে লুকনো ২৫ কেজি গাঁজা! লেনদেনের সময় বারুইপুরে গ্রেপ্তার তরুণী]
মঙ্গলবার বিশ্বজিৎবাবুর দেহটি শনাক্ত করে পরিবার। এরপরই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর, নাকি তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন, তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন বিশ্বজিৎ। লটারির (Lottery) টিকিট কেনা নেশায় পরিণত হয়েছিল। বহুজনের থেকে টাকা ধার করে লটারি কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু শোধ দিতে পারেননি সেই টাকা। ফলে পাওনাদাররা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পাওনা দারদের হাত থেকে বাঁচতেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বজিৎ। তবে এই মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।