সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালিকা পরিচারিকার রহস্যমৃত্যু। সল্টলেকের বাড়ি থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। কী কারণে আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোরী? প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েন নাকি অন্য কিছু, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিপাশা প্রামাণিক। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দা সে। কয়েকমাস আগে সল্টলেকের সিকে ব্লকের ১০২ নম্বর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ পায় সে। কাজে যোগও দেয়। সেখানেই থাকত বিপাশা। কিছুদিন আগে বাড়ি গিয়েছিল নাবালিকা। তারপর ফিরেও আসে। সবকিছু স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল। রবিবার সন্ধেয় আচমকা ছন্দপতন। যে বাড়িতে কাজ করত সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বিপাশার ঝুলন্ত দেহ।
[আরও পড়ুন: ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও হাতে আসেনি পদ্মশ্রী, অপেক্ষায় দিন গুনছেন কিংবদন্তি কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ]
তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রাতেই দেহটি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। সূত্রের খবর, দেহের পাশে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট। আত্মঘাতী হয়েছে বিপাশা নাকি নেপথ্যে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র? তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বিপাশার। সেই সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল কিশোরী।
যে বাড়িতে কাজ করত বিপাশা সেখানকার গৃহকর্তার ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কেন নাবালিকাকে পরিচারিকা হিসেবে রাখা হল? কীভাবে বিপাশার সঙ্গে যোগাযোগ হল ওই পরিবারের, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিপাশার মৃত্যুর কারণ জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তার পরিবার, পরিজনদের। মৃতার প্রেমিকের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হবে বলে খবর।