অর্ণব আইচ: কলকাতায় ‘বালিকা বধূ’র মৃত্যু ঘিরে রহস্য। ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল ১৭ বছরের বধূর দেহ। পরিবারের দাবি, দু’দিন ধরে স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। বাইরে কাজে গিয়েছিলেন। সেই অভিমানেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই ‘বালিকা বধূ’। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার আসল বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পূর্ব রাধানগর এলাকায়। দক্ষিণ কলকাতার পাটুলির বৃজি মণ্ডলপাড়ায় তার শ্বশুরবাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে ঘুম থেকে ডাকেন। দীর্ঘক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন বিছানায় পড়ে রয়েছেন বধূ। তড়ঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। দেহের পাশ থেকে মিলেছে একটি কার্বলিক অ্যাসিডের বোতল। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন:ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করুন, মোদিকে ফের চিঠি মমতার]
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হলেও স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালই ছিল ওই মেয়েটির। তাঁর স্বামী শ্রমিকের কাজ করেন। কর্মসূত্রে বেশ কিছুদিন বাড়ি ছেড়ে থাকতে হয়। রাজ্য সরকারের কড়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই দু’দিনের জন্য কাজে বের হন তার স্বামী। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। তা থেকেই মানসিক অবসাদ। মেয়েটির বাপের বাড়ির লোকেরাও জানিয়েছেন, সংসারে কোনও অশান্তি ছিল বলে তাঁরা জানতেন না। যদিও এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।