সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছরের নাবালিকাকে বিয়ে করেছে ৫৩ বছরের প্রৌঢ়। আইন-কানুন জেনেই করেছে এ কাজ করেছেন শ্রীমান। কারণ তিনি আবার পেশায় আইনজীবী। যেমন-তেমন আইনজীবী নন বম্বে হাই কোর্টের নামকরা আইনজীবী। পসারও বেশ ভাল। সব জেনেই নাবালিকা বিয়ে করেছে অভিযুক্ত। এখানেই শেষ নয়, বিয়ের পর যৌন অত্যাচারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
[দিল্লিতে নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া, যুবতীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত পাঁচ নাবালক]
২০১৫ সালে জোর করে নাবালিকাকে বিয়ে করে ওই আইনজীবী। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এর পর পাত্রী খুঁজছিল সে। যার দায়িত্ব এক পরিচিত মহিলাকে দিয়েছিল। ঘটনাচক্রে ওই মহিলা আবার নাবালিকার গ্রামের বাসিন্দা। যেখানে নাবালিকা নিজের দাদু-দিদার সঙ্গে থাকত। নাবালিকার মা অসুস্থ ছিল। এই জন্যই সে দাদু-দিদার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত সে। ছুটিতে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে যেত। আইনজীবী নাবালিকার নামে ছয় একর জমি করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এই লোভেই জোর করে ৫৩ বছরের পৌঢ়ের সঙ্গে জোর করে নবম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েটি পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু মায়ের অসুস্থতা নিয়ে তাকে ভয় দেখানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। একই কারণে মেয়েটির বাবাও চুপ করে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
[শিক্ষকের পিঠে ম্যাসাজ করছে পড়ুয়া, দেখুন ভাইরাল ভিডিও]
অভিযোগ, বিয়ের পর জোর করে ওই নাবালিকার সঙ্গে আইনজীবী সহবাস করে। দিনের পর দিন যৌন অত্যাচার চালানো হয় তার উপর। লাগাতার অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয় নাবালিকা। ডিসেম্বর মাসের ১৩ তারিখ অভিযোগ দায়ের করে সে। পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে আইনজীবীকে। মামলা দায়ের করা হয় নাবালিকার দাদু-দিদার বিরুদ্ধেও। দু’জনেই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
[ভণ্ড বাবার যৌন লালসার শিকার, দিল্লির আশ্রম থেকে উদ্ধার ৪০ নাবালিকা]
The post ১৫ বছরের নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে, ধৃত ৫৩ বছরের আইনজীবী appeared first on Sangbad Pratidin.