সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারকে (Sharad Pawar) নিয়ে ‘অশালীন’ পোস্টের জেরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মারাঠি (Maharashtra) অভিনেত্রী কেতকী। সেই সময় একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এক ছাত্রকেও। এদিন বছর একুশের ওই ছাত্রের গ্রেপ্তারি ও তাঁকে এক মাস ধরে জেলবন্দি রাখা নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)। আদালত প্রশ্ন তোলে, সরকার কি সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) সমস্ত আপত্তিকর পোস্টের বিচার করতে বসবে?
এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করায় প্রায় এক মাস আগে নাসিক পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল ডাক্তারির পড়ুয়া নিখিল বর্মাকে। ওই পোস্ট নিয়ে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী জিতেন্দ্র আওয়াধ (Jitendra Awhad) সোচ্চার হওয়ার পরেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিখিলকে। এর পর থেকেই সে জেলবন্দি। সম্প্রতি বম্বে হাই কোর্টে দ্রুত মুক্তির আবেদন জানিয়ে মামলা করেন নিখিল। সেই মামলার শুনানিতেই মহারাষ্ট্র সরকারকে চরম ভর্ৎসনা করল আদালত। মামলার শুনানি হয় বিচারপতি এসএস সিন্ধের নেতৃত্বাধীন এজলাসে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে চিতার হামলায় মৃত্যু ৩ শিশুর, ‘মানুষখেকো’কে হত্যার নির্দেশ প্রশাসনের]
শুনানিতে আদালত বলে, অভিযুক্ত ছাত্র মুক্তি পেলে সম্ভবত খোদ এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারও খুশি হবেন। ওই পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। অথচ সরকার এক মাস ধরে একজনকে জেলে আটকে রেখে দিয়েছে। কীসের ভিত্তিতে এই কাজ করা হচ্ছে? আদালত আরও বলে, প্রতিদিন কয়েক হাজার পোস্ট হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখন তার বিচার করতে বসবে সরকার? আমরা এই ধরনের এফআইআরকে (FIR) একদমই পছন্দ করছি না।
[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তান! দৈনিক ১২ ঘণ্টার বেশি সময় অন্ধকারে ডুবে গোটা দেশ]
শরদ পওয়ারের নাম না করে বিচারপতি বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ করে কার্যত পদ্মভূষণে সম্মানিত এক ব্যক্তিত্বের নাম খারাপ করছে মহারাষ্ট্র সরকার। আমরাও চাই না এমন ব্যক্তিত্বের মানহানি হোক। বিচারপতি সিন্ধে সরকার পক্ষের আইনজীবীকে বলেন, ছাত্রের মুক্তির জন্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশিকার ব্যবস্থা করুন। তারা এই বিষয়ে রাজি আছেন কিনা তা দ্রুত জানান। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ জুন।