দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হতে না হতেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা (Gosaba)। রাতভর বোমাবাজিতে জখম হয়েছেন অন্তত ৬ জন। বিজেপির (BJP) দাবি, জখম ব্যক্তিরা সকলেই তাদের দলের সদস্য। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে সকালেও থমথমে এলাকা। নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।
গোসাবা থানা এলাকার আরামপুরে শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, শোভন দেবনাথ, বিক্রম শীল, অর্পণ দেবনাথ, সুজন কুরালি, মহাদেব নায়েক ও অনাথ মণ্ডলরা বিয়েবাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে তাঁদের লক্ষ্য বোমা ছোঁড়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাতে গুরুতর জখম হন ৬ জনই। আহতদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। হাসপাতাল সূ্ত্রে খবর, বোমার আঘাতে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ উঠলেও, এখনও এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, নির্বাচনী আবহে এলাকায় অশান্তির জন্য বোমা তৈরি করছিল বিজেপি কর্মীরা। আর তা ফেটেই বিপত্তি ঘটেছে। এতে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।
[আরও পড়ুন: প্রার্থী ঘোষণার আগেই মনোনয়ন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতোর, শুরু বিতর্ক]
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা এমনিতেই রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট স্পর্শকাতর। নির্বাচনী আবহে তা আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (WB Assembly Election) দ্বিতীয় দফা অর্থাৎ ১ এপ্রিল যে তিরিশটি আসনে ভোটগ্রহণ হবে, তার মধ্যে একটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা। তার আগেই এলাকায় বোমাবাজি, অশান্তির ঘটনায় স্বভাবতই সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। যদিও সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য এবার ভোটের বেশ খানিকটা আগেই রাজ্যে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে তাদের টহলদারি। তা সত্ত্বেও রাতের অন্ধকারে এ ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহে চিন্তা জারি রাখছে প্রশাসনের।