সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছে ‘জম্বি’ অ্যামিবা! আর সেই অ্যামিবাই (Amoeba) খেয়ে ফেলছে ব্রেন। এমনই এক ভয়ংকর অসুখে ভুগে মৃত্যু হল পাকিস্তানের (Pakistan) ৫৯ বছর বয়সি এক ব্যক্তির। নাইগলেরিয়া ফাউলেরি নামের এই অ্যামিবার সংক্রমণে আশঙ্কাজনক ভাবে হাসপাতালে ভরতি এক তরুণ। স্বাভাবিক ভাবেই এমন এক ভয়ংকর সংক্রমণকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে ধরলে এযাবৎ পাকিস্তানে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই অ্যামিবার সংক্রমণে।
এক পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গত ২ মে করাচির ৩০ বছর বয়সি তরুণের মস্তিষ্কে ধরা পড়ে নাইগলেরিয়া ফাউলেরির অস্তিত্ব। তার ঠিক একদিন আগেই মারা যান ৫৯ বছর বয়সি এক পাক নাগরিক। ২০২২ সালে এই প্রথম পাকিস্তানে মারা গেলেন কেউ। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে উদ্বেগ।
[আরও পড়ুন: গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে আত্মঘাতী প্রতিবেশী যুবক, সাতদিনের মধ্যেই আত্মহত্যা যুবতীরও]
কী এই মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নাইগলেরিয়া এমন একটি অ্যামিবা যা লেক, নদী, উষ্ণ প্রস্রবণের গরম জলে ও মাটিতে পাওয়া যায়। এই সব নদী বা অন্য জলাশয়ে সাঁতার কাটার সময় কিংবা জলে ডুব দিলে নাকের মাধ্যমে ওই অ্যামিবামিশ্রিত জল শরীরে ঢুকতে পারে। এরপরই অ্যামিবা ব্রেনে পৌঁছে সেখানকার কোষ নষ্ট করে দেয়।
সূত্রের দাবি, জলে ক্লোরাইড দেওয়া হলে এই অ্যামিবা ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহের সময় করাচির জল বোর্ড ক্লোরাইড দিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ইতিমধ্যেই অবশ্য বোর্ডের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছে, ওই জল খেলে কোনও ভাবেই সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই। তবে সংক্রমণ ছড়াতে পারে কেবল মাত্র নাকের মাধ্যমেই।
এই অসুখ কি ছোঁয়াচে? এবিষয়ে অবশ্য আশ্বস্ত করছেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, কোনও ভাবেই একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে এই অ্যামিবা পৌঁছনোর সম্ভাবনা থাকে না। সাধারণত জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে এর দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশি থাকে। একবার আক্রান্ত হলে রেহাই পাওয়া খুব মুশকিল। মৃত্যুহার ৯৭ শতাংশ।