সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বিভিন্ন নদীতে ভাসান হবে ‘ভারতরত্ন’ তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্ম৷ এমন পরিস্থিতিতে বাবার চিতাভস্ম ভারতে ফিরিয়ে আনার দাবি জানালেন ‘নেতাজি’ সুভাষচন্দ্র বসুর মেয়ে অনিতা বসু পাফ৷ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও জাপান সরকারের কাছে তাঁর প্রস্তাব পাঠিয়েছেন নেতাজি-কন্যা৷
[বিপন্ন কেরলবাসীর কাছে সাক্ষাৎ ‘ঈশ্বরের দূত’ ভারতীয় সেনা, দেখুন উদ্ধারের ভিডিও]
প্রস্তাবক চিঠিতে তিনি লেখেন, ১৯৪৫-এর আগস্টে তাইওয়ানগামী বিমান বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় নেতাজির৷ সেপ্টেম্বর থেকে টোকিও-র রেনকোজি মন্দিরে রয়েছে তাঁর বাবার চিতাভস্ম৷ যিনি চিরকালই স্বাধীন ভারতে ফিরতে চাইতেন৷ কিন্তু জীবন্ত অবস্থায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি৷ ফলে অনিতা বসু পাফ দুই দেশের সরকারের কাছেই দাবি করেন, বাবা তথা দেশনায়ক নেতাজির চিতাভস্ম যাতে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়৷ তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেমী নেতাজি ছিলেন মনে-প্রাণে একজন হিন্দু৷ ফলে দেশে তাঁর চিতাভস্ম ফিরিয়ে এনে গঙ্গায় ভাসানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন নেতাজি-কন্যা৷
কেবল অনিতা বসু পাফ নন, কেন্দ্রের কাছে একই দাবি জানিয়েছেন ভারতে নিয়োজিত জাপানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হিরোশি হিরাবংশী৷ বর্তমানে যিনি টোকিওর জাপান-ইন্দো অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট৷ তাঁর আবেদন, টোকিওর রেনকোজি মন্দিরে যে চিতাভস্ম রয়েছে তাকে স্বীকৃতি দিক ভারত সরকার৷ তাঁরা মেনে নিক তা নেতাজির শেষ স্মৃতি৷ যা এখনও সেখানে সংরক্ষিত করছে৷ দেশনায়কের সেই শেষ চিহ্নকে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে নিক কেন্দ্র৷ শনিবার, ১৯ আগস্ট নেতাজির মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়, রেনকোজি মন্দিরে৷
[গর্ভে ধর্ষক বাবার সন্তান, নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল আদালত]
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু দিন একটি আন্তর্জাতিক বিতর্ক৷ জানা গিয়েছে, সেই বিতর্কে ইতি টানতে লেখক আশিস রায়ের গ্রন্থের কিছু অংশের সাহায্য নিয়েছেন তাঁর কন্যা অনিতা৷ নেতাজির মৃত্যুর উপর লেখা সেই বইতে উল্লেখ করা হয়েছে কেমন ভাবে সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছে৷ এছাড়া “Laid to Rest: The Controversy over Subhas Chandra Bose’s Death” গ্রন্থেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে৷ এমনকি তিনি আবেদনে বলেছেন, শেষ স্মৃতি হিসাবে থেকে যাওয়া চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা করলেই সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটবে৷
The post দেশে ফেরানো হোক বাবার চিতাভস্ম, কেন্দ্রের কাছে আবেদন নেতাজি-কন্যার appeared first on Sangbad Pratidin.