শেখর চন্দ্র, আসানসোল: অসুস্থ মায়ের মৃত্যু কোনওমতেই মেনে নিতে পারেননি ছেলেমেয়েরা। সেই শোকে মায়ের মৃতদেহের পাশেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করলেন তিন সন্তান। তাঁদের মধ্যে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মেয়ে। আসানসোলের (Asansol)বার্নপুরের এই ঘটনায় স্তম্ভিত সকলে।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকালে বার্নপুরের স্টেশন রোডে পরিত্যক্ত আবাসনে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ৯০ বছরের গীতা কর এবং তাঁর দুই ছেলে জয়ন্ত কর, বিপ্লব করকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আরেক সন্তান, ৫৭ বছরের বোন মায়া করকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাড়ি থেকে। তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। জয়ন্ত ও বিপ্লব – দু’জনের বয়সই ষাটের আশেপাশে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট (Suicide Note)। পাওয়া গিয়েছে কার্বলিক অ্যাসিডের শিশিও।
[আরও পড়ুন: রাজনীতির আগে মানবিকতা, বিজেপি বিধায়কের করোনা আক্রান্ত স্ত্রী-সন্তানকে ফল পৌঁছে দিলেন TMC নেতা ]
পুলিশের দাবি, সুইসাইড নোটে লেখা – স্বেচ্ছায় তাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর কারণ হিসাবে দায়ী করেছেন, মা ছিল তাঁদের অন্তপ্রাণ। তাই তিন ভাইবোন বিয়ে করেননি। মায়ের মৃত্যুর পর নিজেরা আর বাঁচতে চান না। তাই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন। জানা গিয়েছে, বড় ভাই জয়ন্ত কর বার্নপুর ইস্কো কারখানায় কাজ করতেন। তিনি একাই ছিলেন রোজেগেরে।
[আরও পড়ুন: ২০ দিন ধরে হাসপাতালে ভরতি নারায়ণ দেবনাথ, শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা]
প্রতিবেশীদের দাবি, এদিন বেলা পর্যন্ত বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। তাতে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের কাছে খবর পাঠানো হয়। হীরাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে জেলা হাসাপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। বোন মায়া করের শরীরে হৃদস্পন্দন পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই এখন চিকিৎসাধীন মায়াদেবী। প্রাথমিক অনুমান, খাবারের সঙ্গে কার্বলিক অ্যাসিড মাখিয়ে খেয়ে সবাই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।