জ্যোতি চক্রবর্তী ও রাজা দাস: সোনার বিস্কুট পাচারের ছক বানচাল করল বিএসএফ। পেট্রাপোল ও হিলি সীমান্তে পাকড়াও সোনার বিস্কুট। পেট্রাপোল সীমান্তে ২২টি সোনার বিস্কুট-সহ পাকড়াও দুই পাচারকারী। হিলি সীমান্তে বাজেয়াপ্ত ১০টি সোনার বিস্কুট।
বাইকের ভিতরে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে রেখে পাচারের চেষ্টা৷ ২২টি সোনার বিস্কুট সহ দুই পাচারকারীকে আটক করল বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানেরা৷ বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পেট্রাপোল থানার পেট্রাপোল সীমান্তের জয়ন্তীপুর এলাকায়৷ বিএসএফ জানিয়েছে, আটক হওয়া ২২টি সোনার বিস্কুটের ওজন প্রায় ২.৫৬৬ কেজি৷ যার আনুমানিক ভারতীয় বাজারমূল্যে প্রায় ১ কোটি ৪৪ লক্ষ ১ হাজার ৫৭১টাকা। ধৃত পাচারকারী জহির হুসেন মোল্লা ও গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। সোনা-সহ ধৃতদের শুক্রবার পেট্রাপোলে শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ I
ভারত-বাংলাদেশের হিলি সীমান্তেও (Hili border) উদ্ধার সোনার বিস্কুট। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে একটি বাইক আটকে ১০টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করে বিএসএফ (BSF)। গ্রেপ্তার এক পাচারকারী। ধৃত পাচারকারী বিমান মণ্ডলকে শুক্রবার আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্তবর্তী হিলি থেকে বালুরঘাটে (Balurghat) বাইক নিয়ে আসছিলেন বিমান মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। তাঁর কাছে সোনার বিস্কুট (Golden Biscuits) রয়েছে বলে খবর আসে বিএসএফের কাছে। তার ভিত্তিতে অভিযান চালায় ১৩৭ নম্বর বিএসএফ ব্যাটেলিয়ন। বালুরঘাট খানপুর এলাকায় ওই ব্যক্তির বাইক আটকে তাকে তল্লাশি করা হয়। সেখানে উদ্ধার হয় ১০টি সোনার বিস্কুট। যার একেকটির ওজন ৯৯৯.৯ গ্রাম। ওই ব্যক্তি তাঁর প্যান্টের মধ্যে ওই বিস্কুটগুলি লুকিয়ে রেখেছিল। বিএসএফের তথ্য অনুযায়ী, হিলি সীমান্তের বানরা গ্রামের বাসিন্দা বিমান।
[আরও পড়ুন: মনীষীদের মূর্তি গড়ে বাড়িতেই তৈরি আস্ত মিউজিয়াম, তবুও খ্যাতির আড়ালে হাওড়ার শিল্পী]
বিএসএফ ১৩৭ ব্যাটেলিয়ানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার সোনার বিস্কুটের বাজারমূল্য ৬৬ লক্ষ ১২ হাজার ৯০৭ টাকা। এছাড়া ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি মোটর বাইক, একটি মোবাইল ফোন (Mobile phone) এবং কিছু ভারতীয় টাকা। উদ্ধার সামগ্রী-সহ ধৃত ব্যক্তিকে শুক্রবার শুল্ক বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃত ব্যক্তি বিমান মণ্ডল জানান, হিলির আপ্তৈর গ্রামের মিলন নামে একজন তাকে সোনার এই বিস্কুটগুলি বালুঘাটের পার্থরঞ্জন সাহার নামে কোনও ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেয়। সে সোনার বিস্কুটের বাহক হিসেবে কাজ করে এবং এর আগেও গোপনে এসব সরবরাহ করেছে।