ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা। আর সেই সহযোদ্ধাই কিনা অসুস্থ। ভরতি হাসপাতালে। তাই শনিবারের পর রবিবারও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে যান সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর ডাকে সামান্য হাত নেড়ে সাড়াও দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, “আচ্ছন্নভাব কিছুটা কেটেছে। কখনও হাত, মাথা নেড়ে আবার কখনও চোখের পাতা খোলা-বন্ধের মাধ্যমে সাড়া দিচ্ছেন। তাই বুদ্ধবাবুকে ঘুমের ওষুধও দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাবার খাওয়ানো হয়েছে। এভাবেই শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে। শনিবার সন্ধেয় অ্যান্টিবায়োটিক বদল করা হয়েছে। তাই রবিবারের বদলে সোমবার তাঁর সিটি স্ক্যান করা হবে। হৃদযন্ত্রে কোনও সমস্যা নেই। তাই শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি ছিল। তাই ইনসুলিন দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে।” চিকিৎসায় সামান্য সাড়া দিলেও এখনই বুদ্ধবাবু পুরোমাত্রায় বিপন্মুক্ত বলা যাবে না বলেই মত চিকিৎসকের।
[আরও পড়ুন: ১৫ ঘণ্টা পার, এখনও জ্বলছে বারুইপুরের প্লাস্টিক কারখানা]
এদিকে, রবিবার সকালেই হাসপাতালে যান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। সহযোদ্ধার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু এবং সুজন চক্রবর্তীরা। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সুস্থতা কামনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার ও পরিচিত চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বলেই জানান। বুদ্ধবাবুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।
দেখুন ভিডিও: