নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আগামী ১২ এপ্রিল রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন (Byelection)। কিন্তু সেই সময়ে রাজ্যে চলবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। বুধবার নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের তরফে ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল দেখা করে। নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল (TMC) সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁরা আবেদন জানান, ১২ তারিখের উপনির্বাচনটি পিছিয়ে দেওয়া হোক।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তৃণমূলের আবেদন গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে তাদেরও কিছু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলে উপনির্বাচন পিছনো সম্ভব কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নন কমিশনের কর্তারা। প্রসঙ্গত, ওইদিন দেশের আরও তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন রয়েছে। তাই দিনক্ষণ পিছিয়ে দিলে, তাও পিছিয়ে যাবে। এই অবস্থায় তৃণমূলের আবেদন কমিশনের বিবেচনাধীন।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যেতে বাধা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি টেট উত্তীর্ণদের, রণক্ষেত্র হাজরা মোড়]
আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ১৬ তারিখ ফলপ্রকাশ। এদিকে ২ এপ্রিল থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ১১ এবং ১৩ এপ্রিলও রয়েছে পরীক্ষা। ফলে মাঝে ১২ তারিখ ভোট হলে সমস্যা হবে। কারণ স্কুলে-স্কুলে ভোট কেন্দ্র হয়। তাই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আরজি জানাল তৃণমূল। প্রতিনিধিদলের আরও দাবি, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ পদ থেকে বাবুল সুপ্রিয় আগেই ইস্তফা দিয়েছেন। সেটা সেপ্টেম্বর মাস। সেই হিসেবে ৬ মাস হয়েই গিয়েছে। তাহলে সেই কেন্দ্রে আগেই উপনির্বাচন না করে কেন এতদিন শূন্য করে রাখা হল, এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মদ খেয়ে বিষক্রিয়ায় ৩ যুবকের মৃত্যু, তীব্র চাঞ্চল্য বারুইপুরে]
বালিগঞ্জের বিধায়ক ছিলেন রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুর পর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। আর আসানসোলের তৎকালীন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় পদত্যাগ করায় সেখানেও ফের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে। সেই বাবুল তৃণমূলে যোগ দিয়ে এখন বালিগঞ্জের প্রার্থী হয়েছেন। আর আসানসোলে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন সেলিব্রিটি শত্রুঘ্ন সিনহা।