সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দেশের জনসংখ্যার অন্তত অর্ধেকই কোভিডে (COVID-19) আক্রান্ত হয়ে পড়বে। তবে একই সঙ্গে তারপর থেকেই দেশে কোভিডের সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতেও শুরু করবে। সোমবার করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত পূর্বাভাস প্রদানকারী কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ভাইরোলজিস্ট, বৈজ্ঞানিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি কমিটির এক সদস্য মণীন্দ্র আগরওয়াল এ কথা জানিয়েছেন।
পেশায় কানপুরের আইআইটি-র অধ্যাপক মণীন্দ্রর দাবি, “আমাদের গাণিতিক মডেল অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যার অন্তত ৩০ শতাংশই বর্তমানে কোভিড আক্রান্ত। আর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তা পরিণত হবে ৫০ শতাংশে। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৭.৫৫ মিলিয়নের মতো। সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে ভারতের সংখ্যা আমেরিকার পরেই রয়েছে। তবে রয়টার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই কোভিডের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সংক্রমণ একেবারে শীর্ষে উঠেছিল। আর তার পর থেকেই গ্রাফ কমতির দিকে।
[আরও পড়ুন: ‘তথ্যের অপব্যাখ্যা হচ্ছে’, টিআরপি নিয়ে রিপাবলিক টিভিকে ভর্ৎসনা BARC-এর]
বর্তমানে গড়ে রোজ ৬১,৩৯০ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোভিডের বর্তমান সংক্রমণের হার নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে, তার তুলনায় বিশেষজ্ঞ কমিটির পরিসংখ্যান অনেকটাই বেশি। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উৎসবের মরশুমে সাবধান না হলে রাতারাতি দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস জানিয়েছেন, আগামী দিনে করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ভারতবর্ষের গবেষণা এবং পরিকাঠামো। বিশেষ করে প্রচুর মাত্রায় করোনার ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের পরিকাঠামো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি।